পিরোজপুরের ভাণ্ডাারিয়ায় মাহফুজা পারভীন (৪০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা বসতঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবা ভোররাতে উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব ভাণ্ডারিয়া গ্রামে ওই স্কুল শিক্ষিকার বসতঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে বসতঘরসহ তিনি পুড়ে ছাই হয়ে যান। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করা হচ্ছে।
নিহত মাহফুজা পারভীন দক্ষিণ ভাণ্ডারিয়া গ্রামের মৃত স্কুল শিক্ষক মাওলানা ওহাব হাওলাদার এর মেয়ে। সে ভাণ্ডারিয়া শহরের খান সাহেব আবদুল মজিদ জোমাদ্দার কিন্ডার গার্টেন এ শিক্ষকতা করে আসছিলেন।
নিহতের স্বজনরা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, মাহফুজা বাবার বাড়িতে থেকে ভাণ্ডারিয়া শহরের খান সাহেব আবদুল মজিদ জোমাদ্দার কিন্ডার গার্টেন এ শিক্ষকতা করে আসছিলেন। শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বসতঘরে ঘুমন্ত পরিবারের সবাই অগ্নিকাণ্ডের টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে দুর্ভাগ্যবশত ওই বসত ঘরের দ্বিতীয় তলায় ঘুমন্ত মাহফুজা আটকা পড়ে যান। তার ঘরের বাইরে বের হওয়ার কোন উপায় না থাকায় বসতঘরসহ অগ্নিদগ্ধ হয়ে সে ঘটনাস্থলে পুড়ে মারা যায়।
ফায়ারসার্ভিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই স্কুল শিক্ষিকাসহ বসতঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ মর্মান্তিক অগ্নিদগ্ধে নিহত স্কুল শিক্ষিকার পরিবারে শোকের মাতোম চলছে।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘরের দোতলায় ঘুমন্ত অবস্থায় এক স্কুল শিক্ষিকা আটকা পড়ায় তার র্মমান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। দুই বসতঘরে আনুমানিক ১৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।