প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ঘোষণায় নড়ে ওঠেছে সরাইল। লকডাউনে থাকা দরিদ্র অসহায়দের পাশে খাবার নিয়ে দাঁড়িয়েছেন এ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও আ.লীগ নেতা শহীদ বুদ্ধিজীবি সৈয়দ আকবর হোসেন বকুল মিয়ার ছেলে অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানবির হোসেন কাউছার। তারা দু’জনই গতকাল দিনভর ৬ শতাধিক দরিদ্র পরিবারকে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। লকডাউনের ৫ দিন পরও যখন কর্মহীন অসহায় মানুষ গুলোর আকুতিতে এখানকার কোন প্রভাশালী জনপ্রতিনিধির সারা মিলছিল না। অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছিলেন তারা। তবে বাঁচার আশা ছাড়েননি কখনো। গতকাল সকাল থেকে আশায় বুক বেঁধে হাঁসছেন অসহায় ওই পরিবার গুলো। বেড়ে গেছে তাদের সাহস ও মনোবল। সরজমিনে জানা যায়, করোনা ভাইরাস নিয়ে চারিদিকে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। রক্ষার জন্য গোটা সরাইল হয়ে পড়ে লকডাউন। ১০২ জন প্রবাস ফেরৎ লোক চলে যান হোম কোয়ারেন্টিং-এ। চারিদিকে হাহাকার। শ্রমজীবি মানুষ গুলো হঠাৎ বেকার। তারা খাবে কি। সরকারি সহযোগিতা আসে। বিতরণ শুরূ করেন নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তবানদের দিকে চেয়ে থাকে দরিদ্র লোকজন। কিন্তু সপ্তাহ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন এমপি সরাসরি মাঠে না আসায় অসহায় লোকদের পাশাপাশি সচেতন লোকজনও আশাহত হয়ে পড়ে। একসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) বিষয়টি তুলে ধরতে থাকেন গণমাধ্যম কর্মী ও সচেতন লোকজন। একের পর এক সমালোচনার ঝড় ওঠে ফেসবুকে। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোণষা সম্বলিত নানা ধরনের পোষ্ট। “ভোটের জন্য যেভাবে দ্বারে দ্বারে গিয়েছিলেন, এখন খাবার নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান”। “ এ সময়ে জনগণের পাশে না যাওয়া মন্ত্রী এমপি ও দলীয় নেতাদের তালিকা হচ্ছে”। নড়ে ওঠে সরাইল। গতকাল রোববার সকালেই মাঠে নেমে পড়েন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মহাজোটের সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা। ২ হাজারেরও অধিক অসহায় পরিবারকে খাদ্য সামগ্রি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। গতকাল তিনি কালিকচ্ছ, সূর্যকান্দি ও সরাইল সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ৪ শতাধিক পরিবারের প্রত্যেককে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি মশুরি ডাল ও ৫ কেজি আলুর প্যাকেট দিয়েছেন। মৃধা বলেন, লকডাউনে থাকা দরিদ্র লোকজন চরম বেকায়দায় পড়েছে। বিবেকের তাড়নায় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। দুই সহস্রাধিক পরিবারকে সহযোগিতা আমার টার্গেট। আমি সমাজের সকল বিত্তবানদের অনুরোধ করব এমন অসময়ে অসহায় ওই পরিবার গুলোর পাশে সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করূন। অপর দিকে একই দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘুলে সরাইল সদর ইউনিয়নের আলীনগর, নিজ সরাইল, জিলুকদার পাড়া, পাঠান পাড়া ও লতাবদ্ধ পাড়ায় ২ শতাধিক দরিদ্র পরিবারের প্রত্যেককে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু. কেজি তেল, ১ কেজি মশুরি ডাল ও ১টি ডেটল সাবানের প্যাকেট প্রদান করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ তানবির হোসেন কাউছার। কাউছার বলেন, আমার বাবা সৈয়দ আকবর হোসেন বকুল মিয়া দেশের জীবন দিয়েছেন। আমি সেই পিতার সন্তান। চোখের সামনে আমার দরিদ্র প্রতিবেশী উপবাস থাকবে এটা হতে পারে না। তাই নিজে থেকেই তাদেরকে সাধ্যমত সহায়তার চেষ্টা করছি। এ ধারা ইনশাল্লাহ অব্যাহত থাকবে।