সারা দেশের মানুষ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতংকের ভেতর রয়েছে। তখন পুঠিয়ার হাট-বাজার রাস্তাগুলোতে ব্যাপক লোকসমাগম দেখা যাচ্ছে। সরকার আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সবকিছু লকডাউন করে রেখেছেন। এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনের গাফিলতির কারণে, হোম কোয়ারেন্টাইন না থেকে সাধারণ মানুষেরা স্বাভাভকিক ভাবে বিভিন্ন স্থানে চলাফিরা করতে দেখা যাচ্ছে।
সোমবার সকালে পৌর এলাকার ঝলমলিয়া হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। সারা দেশের মানুষ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতংকের ভেতর জীবনযাপন করছে। তখন পুঠিয়ার হাট-বাজার রাস্তাগুলোতে লক্ষ্য করারমতো লোকসমাগম এবং রাস্তায় যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। গত ২৬ মার্চ লকডাউনের পর থেকে উপজেলা প্রতিটি হাটবারের দিন ব্যাপক লোকসমাগম চোখে পড়ার মতো লক্ষ করা গেছে।
এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর তদারকী না করার জন্য সাধারণ মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বড় রকমের বাধা না দেয়ার ন্য, হাট-বাজারে মানুষ ঘুরাফিরা করতে দেখা যাচ্ছে। যেভাবে পুঠিয়ার সাধারণ মানুষ এলোপাতাড়ি ভাবে চলাফিরা করছে। তাতে করে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করা অসম্ভব হয়ে দাড়াবে।
এখননি কঠোরভাবে হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা না করলে, আগামী দিনগুলিতে করোনাভাইরাসের লাগাম ধরে রাখা সম্ভব হবে না। সরকার আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সবকিছু লকডাউন করে রেখেছেন। বর্তমানে মহাসড়কে তেমন একটা যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু পুঠিয়ার ছোট রাস্তাগুলোতে দিন-রাত ইটভাটার ট্রাক্টরের ঝনঝনাানি এবং ধুলাময়ে এলাকাবাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, বাজারের মুদিখানা দোকানগুলো নিদিষ্ট সময়সীমা বেঁধে না দেয়ার ফলে, মুদিপন্য নেয়ার ওজুহাত দিয়ে, বাজারে আড্ডা দিয়ে অনেক মানুষ বাড়ি ফিরছে।
প্রতিটি বাজারে নিদিষ্ট করে কয়েকজন পুলিশ সদস্য রাখা হলে, হোম কোয়ারেন্টাইনের উদ্দেশ্যে সফল হবে। ইতোমধ্যে গতকাল রোববার থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মো. ওলিউজ্জামানের নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর তাণ ও দুর্যোগ তহবিল থেকে ১০ কেজি করে চাল বিতারণের কাজ শুরু করেছেন। উপজেলার ছয় ইউপি এক পৌরসভার দুই হাজার ৮শত জন গরীব মানুষের মাঝে চালগুলি দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ওলিউজ্জামান বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রথম থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারোনা চালায়ে আসছি। এবং সাধারণ মানুষদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য আপপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছি। এত কিছু চেষ্টার পরও এলাকার মানুষদের হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যাপারে সচেতন করে তুলা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ থেকে পুঠিয়ার প্রধান প্রধান লোকসমাগম এলাকাগুলি সেনাবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।