শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামের আবদুল আওয়াল (৫৫) নামের এক ব্যাক্তি রোববার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে মারা গেছেন।
তনি গত তিন চার দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তিনি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় পাইলিং কন্সট্রাকশনের নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত চার দিন আগে সাধারণ ছুটি পেয়ে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর থেকেই তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। হাসপাতালে না নেয়ায় একপর্যায়ে রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান । এদিকে, মৃত ব্যাক্তির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করেন গ্রামবাসী। তবে ওই পলাশীকুড়া গ্রামের ইউপি সদস্য নুরুল হক তার পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে বলেন, আবদুল আওয়াল অনেক আগে থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। ছুটিতে বাড়ি আসার পর হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট ও জ্বর বেড়ে যাওয়ায় নিজ বাড়িতেই তিনি মারা যান । এতে গ্রামবাসী তাকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহ হয়।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান বিষয়টি শেরপুর জেলা সিভিল সার্জনকে অবহিত করার পর সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে তার টিম মৃত ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষা নীরিক্ষার পর জানা যাবে আবদুল আওয়াল করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছিলেন কিনা।
এব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার আনোয়ারুর রউফ জানান, আপাতত ওই ব্যাক্তির সংস্পর্শে যারা ছিলেন তারাসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।