তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি আবাসিক গ্যাস ব্যবহারকারীদের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের পরিমাণ বাড়িয়েছে। সরকার ঘোষিত ছুটির দিনগুলোতে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ১০ গুণ বাড়িয়ে ২শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। আর ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের পরিমাণ বাড়ানোর ফলে এখন চলমান ছুটির সময়ে গ্রাহকদের প্রিপেইড কার্ড রিচার্জ করতে হবে না। তারা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, তিতাস গ্যাসের প্রিপেইড মিটার গ্রাহকরা বিদ্যমান ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলেও ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স হিসেবে ২০০ টাকার গ্যাস নিতে পারেন। এখন তা ১০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। মূলত করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকার ঘোষিত ছুটির দিনগুলোতে গ্যাসের বিল পরিশোধ শিথিলে সরকার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তার আলোকে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বাসাবাড়ির গ্রাহকরা চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কোনো জরিমানা ছাড়াই দেরিতে গ্যাস বিল দিতে পারবেন।
সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আবাসিক গ্যাস বিল নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরিশোধের জন্য বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় একই সময়ে উপস্থিত হতে হয়। এমন উপস্থিতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে ত্বরান্বিত করার আশঙ্কা থাকে। সেজন্য সরকার আবাসিক খাতের গ্যাস বিল পরিশোধ করার ক্ষেত্রে গ্যাস বিপণন নিয়মাবলি (গৃহস্থালী)-২০১৪ নির্ধারিত সময়সীমা শিথিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আবাসিক গ্রাহকরা কোনো প্রকার সারচার্জ বা বিলম্ব মাশুল ব্যতিত ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের গ্যাস বিল জুন মাসের সুবিধাজনক সময়ে পরিশোধ করতে পারবেন।
সূত্র আরো জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগও একই প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময়সীমা শিথিলে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানিগুলো বিল পরিশোধের সময় শিথিল করতে বিইআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে আবাসিক গ্যাস ব্যবহারকারীদের জন্য ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের পরিমাণ বাড়ানো প্রসঙ্গে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মোহাম্মদ আল মামুন জানানা, এখন প্রিপেইড গ্রাহকরা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স হিসেবে দুই হাজার টাকার গ্যাস পাবেন। স্বাভাবিকভাবে একজন গ্রাহক এক মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার গ্যাস ব্যবহার করেন। অর্থাৎ দুই হাজার টাকার গ্যাস পুরো চার মাসের সমান। আর এ পদক্ষেপ নেয়ার পরও কার্ড রিচার্জকারী ও নির্ধারিত ব্যাংক ইউসিবি-কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে তারা গ্যাস ব্যালেন্স রিচার্জ করতে চাওয়া গ্রাহকদের সহযোগিতা করেন।