ভয় নয় করোনায়
সপ্তিকা চক্রবর্তী
মহামরণের এ কী খেলায় ভাসছে বিশ্বময়
হবে কার পরাজয় কার বা হবে শেষ জয়?
শুধু মেনে চলার নিয়মের সূত্রগুলো বাঁচবার তরে
ভয় নয় ভয় মানবজাতি বিপর্যয়ের এই ঝড়ে।
মনের বাঘেরই হুংকার শুধু মনের বাঘেতে খায়
আতংক যতো ছুড়ে দিয়ে বলো এ প্রাণ বাঁচতে চায়।
বুুলেট ভরা গুলির সম্মুখে হাসি ভরা বক্ষ যার
যুদ্ধজয়ী বাঙ্গালি জাঁতি পায় না তো ভয় আর।
ধর্মে, কর্মে, সত্য জ্ঞানে পৃথিবী হয়ে এক প্রাণ
খুঁজবো আমরা পথের সন্ধান কিভাবে হয় পরিত্রাণ।
জাতির পিতা হটেনিতো পিছু মৃত্যুর ডাকে বারবারে
আমরা তার দেশ সন্তান করি নাতো ভয় করোনারে।
হারিয়ে পরিবার জননেত্রী তার দেশ তরে দিনপার
মহাশক্তি সেজে প্রতি বাঙ্গালির এক ভাইরাস কোন ছার।
একতার কাছে সকল শক্তি পরাজিত হয় পৃথিবীতে
করোনা ভাইরাস হবে যে বিনাশ জনতারই প্রচেষ্টাতে।
সামান্য বিষয় তবুও কত হয় মানবের মাঝে হতাহত
সৃৃষ্টির খেলা কত ভয়ংকর মানব জাঁতি বুঝে নাতো।
মিথ্যা, হিংসা, অহংকার পাপ চূর্ণ করি যা পিছু
সবার উপর মানুষ সত্য আগে পরে নেই কিছু।
হিংসার আগুনে জ্বলছে করোনা
শাহরুবা চৌধুরী
হিংসার আগুনে জ¦লছে জৈব মারণাস্ত্র করোনা
বাকরুদ্ধ আমি প্রশ্নমুখর সাড়ে পাঁচ বছরের সন্তানের কাছে,
মুজিবজন্মশতবর্ষের একুশে গ্রন্থমেলা থেকে কিনে দিয়েছি
বিজ্ঞান প্রোজেক্ট, শিশুর স্বপ্ন, শুনিয়েছি- রূপকথার গল্প
মুনা বলছে- কই তোমার বিজ্ঞান তো
করোনার কাছে পরাজিত!
কাগজের নৌকায় করোনা আতঙ্ক ছড়ায় মনে
সবেই তো বিপদের ঝুঁকি থাকে
ইতিহাস ঘুরে ফিরে আসে, এক অণু অক্সিজেন
দুই অণু কার্বন। হায় করোনা-আর কত অদৃশ্যমান হয়ে
্বিনীত রাত্রির ক্লান্তিতে মৃত্যুর উৎসবে মেতে উঠবে!
খিদের পেটে চেয়ে দেখে খোলা মাঠ থেকে
পূর্ণিমার চাঁদে কোনো জলছাপ নেই তো!
গৃহদাহ জ¦লে জন্মেই মৃত করোনার আগুন,
ওই চোখে আর আতঙ্ক নয়,
্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্ঈশ্বর একটু আশ্রয় চাই।
করোনা হইতে শিক্ষা
হাসান অনি
করোনাকে কি বলিব ক্ষতিকর? নাকি ইহা হইতে লইব শিক্ষা। করোনায় রুদ্ধ হইল কারখানা নাকি বন্ধ হইল দূষণ? করোনা শুরু হইলো, নাকি বন্ধ হইল জীবাণু যুদ্ধ? যাহাদের মধ্যে ছিল দ্বন্দ্ব, করোনায় তাহারাই আজ একত্র। ইহকালেই করোনায়, পরিবার-পরিজনে বন্ধু বান্ধবে নাহি তারে সয়, ভাবো হাশরের ময়দানে কে কাছে যে রয়? ইবাদত করিলে পাঁচবার, পরিষ্কার হইবে তুমি ততবার।
নয় কি ইহা করোনা হইতে বাঁচিবার হাতিয়ার? উপরওয়ালা বুঝাইবেন আর কি করিয়া; বন্ধ কর হে মানব তোমরা পাপের এ দরিয়া। শুধরাও, শুধরাও নিজেকে শুধরাইয়া লও! করোনা যে বিদ্যা দেয়, তাহা হইতে শিক্ষা লও হে পাপিষ্ট, হে মানব। করোনাকে তুমি করিও না ভয় পূণ্যতা এলে এ ভবে, একদিন বিশ্ব করিবে করোনাকেই জয়।
করোনার বীর্য আর মৃত্যু
আতিক আজিজ
জ¦লে জ¦লে কালো পোড়া পলাশের সাধ
সবুজ জঠর
শূন্যেও জমেছে ছাই
প্রাকৃতিক শবের রেনু দিগি¦দিকে নেচে হেসে
নাবাল জমিতে চষে জন্মের যন্ত্রণা।
বসন্তে সারা অরণ্যে জ¦লে উঠছে আগুন
মৃত্যু যেনো নিশ্চিত! থালাবাসন, মগ, খাদ্য পানীয়
ভালোবাসা কি আনন্দ কেউ এখন ছুঁয়ে দেখবে না!
ভোরবেলাই মাতাল হয়ে পেরুতে হচ্ছে নদী পর্বতমালা
যখনই সঙ্গমে উন্মত্ত হয়ে উঠছি- দুই ঢেউ
ঘাসের ভিতর থেকে জেগে উঠছে করোনা,
শহর থেকে গঞ্জ, গঞ্জ থেকে গ্রাম উপচে উঠছে-
করোনার বীর্য আর মৃত্যু।
মৃত্যু দিয়ে প্রজন্মের উল্লাসে করোনা এক ভয়ংকর দাহ!
জ¦ল জ¦ল চৈত্রের দিনে রাতে
নাভিমূল পুড়িয়ে করোনা সুদ আসল বুঝে নিচ্ছে।
করোনার অস্পষ্ট পায়ের শব্দে এত নির্জনতা!
্্্্এই আলো হাওয়া সবুজ জীবন মৃত্যু পারাপার...