বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় বসতবাড়িতে হামলা ও লুটের অভিযোগকারী গৃহবধুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধুর নাম ইতি বেগম (১৯)। নিহত ইতি গত ৩১ মার্চ মঙ্গলবার স্থানীয় সাংবাদিকদেও কাছে অভিযোগ করেছিলেন, আগেরদিন সোমবার গ্রামের প্রতিপক্ষরা তাদের দুইটি বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটতরাজ করে। এলাকার প্রতিপক্ষদের সাথে দ্বন্দের জের ধরে এই হত্যাকান্ড হয়েছে বলে নিহতের পরিবার দাবী করেছে। নিহতের সাথে দুই মাস আগে কুনিয়া গ্রামের সদর মীরের পুত্র হাফিজুর মীরের বিয়ে হয়েছিল।
নিহতের স্বামী হাফিজুর মীর (৩২) জানান, মধুমতি নদী তীরের কুনিয়া গ্রামে ২২ বছর আগে জমি কিনে তারা বসবাস করে আসছেন। এই জমি স্থানীয় একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে সুকৌশলে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। তারা গরু চুরির অপবাদ দিয়ে গত সোমবার তাদের বাড়ীতে হামলা, লুটতরাজ করে। এই বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন তার স্ত্রী। তারই জের ধরে এই হত্যা হয়েছে বলে তার ধারণা।
অপরদিকে, নিহত ইতি বেগম মঙ্গলবার স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, গরু চুরির অপবাদ দিয়ে গত সোমবার (৩০ মার্চ) এলাকার কিছু লোক তাদের দুইটি বাড়ি ভাংচুর ও ব্যাপক লুটতরাজ করে। এ সময় হামলাকারীরা হাতুড়ি, কুড়াল, সাবল ও লাঠিসোটা দিয়ে দুইটি বসতবাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করে। বেলকনির গ্রীল ভেঙে ঘরে ঢুকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, চাল, ডাল, আলু, সরিষা, গোয়ালের ৫টি গরু, ১০টি ছাগল, ১৫-১৬টি হাস ও মুরগি এবং লোহার সিন্দুক নিয়ে যায়। সিন্দুকে আনুমানিক ১০-১২ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। ঘরের ভিতরের টিভি, ফ্রীজ, ফ্যান, মটর সাইকেল, হাড়ি কড়াইসহ যাবতীয় ফার্নিচার ভেঙে তছনছ করে। যাবার বেলায় তারা আমাদের জামা কাপড় কেটে কুচি কুচি করে বাগানে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানোর পরে ওসি সাহেবে ভাংচুরের ঘটনা এসে দেখেছিলেন। কিন্তু কেউ আটক হয়নি।
চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামের হাফিজুর মীরের বাড়িতেই তার স্ত্রী ইতি বেগমের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়। এ রিপোর্ট লেখাকালীন তিনি উপজেলার সীমান্তবর্তী ওই গ্রামে ঘটনার তদন্তে ছিলেন। মামলার প্রস্তুতি চলছিল।