দাকোপে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সন্দেহভাজন ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। উপজেলা হাসপাতালে ১০ শষ্যাসহ পৃথক ৩টি ভবনে আর ১০০ শষ্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চলমান অস্থির পরিস্থিতির সুযোগে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে দূবৃত্তরা অবৈধ প্রক্রিয়ায় বালু উত্তোলন ও লবন পানি তুলে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে।
বিশ্বজুড়ে চলমান মহামারী আতঙ্ক করোনা ভাইরাসের উপসর্গে দাকোপে সন্দেহ ভাজন এ পর্যন্ত ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গত ৩ দিন আগে উপজেলার দাকোপ সাহেবের আবাদ গ্রামের একই পরিবারের স্বামী মহানন্দ শীল, স্ত্রী সাগরিকা শীল এবং তাদের শিশু পুত্র স্বপ্নীল শীলের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলায় করোনার নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। সোমবার সর্বশেষ চালনা পৌর সদর এলাকার মাসুদ গাজী, নারায়ন রায়, প্রিয়াংকা বিশ্বাস এবং প্রনিতা মন্ডলসহ সর্বমোট ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হক নিজামী নিশ্চিত করেছেন। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান। অপরদিকে করোনা মোকাবেলায় হাসপাতালে ৩টি হ্যান্ড ওয়াশ কর্ণার, সন্দেহভাজন রোগীর প্রাথমিক পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহের জন্য আর টি আই কর্ণার স্থাপন এবং ১০ শষ্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে ১০০ শষ্যার ৩ টি প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ দিকে সোমবার পর্যন্ত উপজেলায় বিদেশ ফেরত ১১৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে এখন আছে ১৫ জন। অভ্যান্তরীন কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৩২ জন। সব মিলিয়ে এখন উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৪৭ জন। এর মাঝে একটি মহল দাকোপে করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে মর্মে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে উপজেলা প্রশাসন গুজবে কান না দিয়ে সকলকে সর্তকভাবে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য সারা দেশে এ পর্যন্ত ১২৩ জন রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ১২ জন মারা গেছে।
এদিকে করোনা নিয়ে চলমান অস্থির পরিস্থিতিতে প্রশাসন যখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তখন একাধিক দূবৃত্তচক্র উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের গড়খালী এলাকায় ভূমিধস খ্যাত আত্মঘাতি ড্রেজার লাগিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছেন। প্রশাসন একদফা সেটা প্রতিহত করেছেন, তবে ওই চক্রটি থেমে নেই। তারা আবারো সেটি চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া একই ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া এলাকায় অপর একটি চক্র বিধি নিষেধ অমান্য করে লবন পানি উত্তোলনের পায়তারা করছে বলে জানা গেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেখানে শাররীক দুরত্ব নিশ্চিত করা অত্যান্ত প্রয়োজন সেখানে দূবৃত্তদের এ জাতীয় কাজে সৃষ্ট উত্তেজনায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।