করোনা উপসর্গ নিয়ে জ্বর ও সর্দি আক্রান্ত হয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও রামগঞ্জে মারা গেছেন দুই জন বৃদ্ধ। এ ঘটনায় ৬টি বাড়িকে লক ডাউনে রাখা হয়েছে। দুইজনকেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মঙ্গলবার ১১টার সময় রামগতি চরসীতা এলাকায় মারা গেছেন ৫৫ বছরের মোহাম্মদ রফিক মেস্তরী। এ ছাড়া একই দিন বিকালে রামগঞ্জের দরবেশপুর গ্রামে মারা যায় ৮০ বছরের বৃদ্ধ সিরাজ মিয়া। এ ঘটনায় রামগতির চরশীতা গ্রামে ও রামগঞ্জে উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের নিহদের বাড়ীরসহ ৬টি বাড়ি লকডাউনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
রামগতির উপজেলার আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা পরিজাত দও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত দুদিন আগে সে অসুস্থ ছিলেন হঠাৎ করে সকালে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ে মারা যায়। করোনা উপসর্গ সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মো :জসিম জানান,প্রশাসনের নিদের্শে চর শীতা এলাকার নিহতের বাড়ী পার্শ্বের ৩ টি বাড়ী লক রয়েছে। লকডাউন করা বাড়ী গুলো পুলিশসহ বাহাড়া দিচ্ছেন। যাতে করে কেউ যাতে বাড়ি থেকে বের হতে না পারে। তিনি আরো জানান, কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধেও জ্বর ও সর্দি রোগে রোগে ভোগছিলেন তিনি। কি কারণে মারা গেছে সেটা জানেন না তিনি।
রামগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার আনোয়ার হোসেন জানান, ৮০ বছরের বৃদ্ধ সিরাজ মিয়া দীর্ঘ দুই মাস ধরে তার নিজ বাড়ীতে জ্বও ও সর্দি আক্রান্ত হয়ে পরে পরে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্য্র নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মৃতদেহ মঙ্গলবার বিকালে রামগঞ্জের দরবেশপুর তার নিজ বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা: আবদুল গফ্ফার জানান, জ্বর ও সর্দি আক্রান্ত হয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও রামগঞ্জে দুই জন বৃদ্ধ মারা যায়। দুই জনের মৃতদেহ নমুনা শনাক্ত করে রির্পোটের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মৃদ্ধার পারিবারিক কবরস্থানে ইসলামি নিয়ম অনুযায়ী মৃতদেহ দাপন করা হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় রামগতি ও রামগঞ্জে ৬ টি বাড়িতে করোনা সন্ধেহে লক ডাউন করা হয়েছে।