জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যামামলার ফাসির দন্ড প্রাপ্ত পালাতক আসামি ক্যাপ্টেন( অঃ) আবদুল মাজেদ,পিতা:মৃত আলী মিয়া, গ্রাম: বাটামারা, ইউনিয়ন: বড় মানিকা, উপজেলা: বোরহানউদ্দিন, গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুল এমপি সহ এলাকার সাধারন জনগন। তারা এ রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতিদাবী জানান। ভোলা-২ আসনের সাংসদ এমপি আলী আজম মুকুল বলেন এই মৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত আসামি খুনি আ: মাজেদ দীর্ঘদিন বিভিন্ন দেশে আত্বগোপনে ছিলো। মৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত খুনির ব্যাপারে ইন্টারপোলে রেড এলাট জারি করা হয়েছে অনেক আগে। বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট রাত অনুমানিক সোয়া চারটার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে গ্রেপ্তার করে মাজেদ কে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সকল কে ধন্যবাদ জানান এমপি মুকুল। ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে খুনি মাজেদের গ্রামের বাড়ি। কিন্তু কখনও তিনি এ এলাকায় আসেননি। এলাকার কেউ তাকে চিনেও না। তার পরিবারের অন্য সদস্যরা কখনও এলাকায় আসেনি। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট কিছু বিপদ গামী সেনা সদস্যর হাতে নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের সদস্যরা। ভাগ্য ক্রমে বিদেশে অবস্থান করায় বেঁচে জান গনপ্রজাতন্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ৯৬ সালে আওয়ামিলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচার কাজ শুরু হয়। খুনি মাজেদ গ্রেপ্তারে স্বত্বি প্রকাশ করেছেন ভোলা জেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। সাংসদ আলী আজম মুকুল বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে হোমকোয়ারেন্টানের নির্দেশনা মেনে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। অন্যথায় ভোলা সহ আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ রাস্তায় নেমে খুনি মাজেদের গ্রেফতারে উল্লাস প্রকাশ করতো। সমগ্র জাঁতি আজ এ দুর্যোগের সময় ও আনন্দিত ঘৃনিত খুনির গ্রেপ্তারে। এর ফলে ভোলা আজ কলঙ্ক মুক্ত হলো। গ্রেফতারকৃত আবদুল মাজেদ এর চার কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সালেহা বেগম বর্তমানে বাড়ী,- ১০/এ, রোড-১, ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকা ঢাকা সেনানিবাসে বসবাস করছেন।