: ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৮ নং বাসন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনিরুজ্জামান মনিরের আগরবাড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক সরকারী ত্রানের আড়াই টন চাল উদ্ধার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কে প্রধান করে সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তাসহ ৩ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্য ইউপি সদস্য মনির কর্তৃক সরকারী ত্রানের চাল চুরির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করার জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এদিকে ইউপি সদস্য মনিরের দুর্নিতী থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত চাল চুরির ঘটনার সঠিক তদন্ত শেষে তাকে আইনের আওয়ায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। ইউপি সদস্য মনির নিজেকে নির্দোষ দাবী করে জেলা খাদ্য গুদামের একটি কাগজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে বলেন, এই চাউলের মালিক সে নিজেই। সে এমপি আমির হোসেন আমুর নামে এলাকায় বিতরণ করবেন বলে ক্রয় করেছেন। কিন্তু যে কাগজটি সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে সেটি ছিলো গত ২০১৯ সালেন জুন মাসের। এলাকাবাসী বলেছেন, নিজ উদ্দোগে বিতরণের উদ্দেশ্যে সে যদি এই চাল ক্রয় করতো তাহলে নুরজাহান ব্রান্ডের প্লাষ্টিক বস্তায় ৫০ কেজি করে প্যাক করতো না। জেলা ছাত্রলীগের একাধীক নেতা বলেন, আমির হোসেন আমু এম.পি পরিস্কার রাজনীতি বিশ্বাস করেন। মেম্বার মনির নিজে বাঁচার জন্য নেতার নাম ভাঙ্গাচ্ছে, এবিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেন জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ এক নেতা।
উল্লেখ্য জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার(এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত ৯ টায় ইউপি সদস্য মনিরের বাড়িতে অভিযান চালায় নির্বাহী ম্যাজিট্রেট (এনডিসি) আহম্মেদ হাসান। এসময় জেলা প্রশাসন ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য এবং সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ত্রানের চাল বিতরণ না করে অবৈধ ভাবে বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে সরকারী বস্তা বদল করে নুরজাহান ব্রান্ডের প্লাষ্টিক বস্তায় প্যাকেট করা হচ্ছিলো। অভিযানের সময় ইউপি মেম্বার মনিরের বাসা থেকে বস্তা ভরা আড়াই টন চাল, ৪৮ টি নুরজাহান ব্রান্ডের নতুন প্লাষ্টিক বস্তা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সম্বলীত ৭ টি চটের সরকারী খালী বস্তা জব্দ করেছে ভাম্যমান আদালত।