নত্রেকানার পূর্বধলায় করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জনসমাগম এড়িয়ে সবাইকে ঘরে থাকতে সরকারের দেয়া নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্থানীয় ভাবে লকডাউন কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ লিপ্ত হয়েছেন পূর্বধলা উপজেলার দুই পক্ষ।
স্থানীয় লকডাউন কেন্দ্র করে উপজেলার জুগলী গ্রামের মাজহারুল ইসলাম সোহেল এর সমর্থক একটি দল ও বারদার গ্রামের আবদুল আজিজের সমর্থক দুই দলের মধ্যে বুধবার (৮ এপ্রিল) এই সংঘর্ষ হয়।
জুগলী ও বারদার দুটি গ্রামের মধ্যে দিয়ে রাস্তা একটিই। মঙ্গলবার এই সড়কে মাজহারুল ইসলাম সোহেল এক প্রান্তে বাঁশ, কাঠ দিয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি নিয়ে রাস্তা লকডাউন করে দেয়। একই রাস্তার অন্য জায়গায় লকডাউন করে আবদুল আজিজ। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য হলে পূর্বধলা থানার পুলিশ গতকাল রাতে আবদুল আজিজের লকডাউন ভেঙে দেয়।
এই লকডাউন কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যার ফলে আজ সকালে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে মাথা ফেটে যায় আবদুল আজিজের গ্রুফের ভিতরগাঁও গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে লিটন মিয়ার। আরো আহত হন একই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে আজহারুল ইসলাম ও বারদার গ্রামের ময়েজ উদ্দিন।
এই অবস্থায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ রাজু আহমেদ রাজ্জাক সরকার ও পূর্বধলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ তাওহীদুর রহমান।
জাহিদুল ইসলাম সুজন জানান, আহতদের পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। তিনি দুই পক্ষকে নিভৃত থাকার আহ্বান জানান।অফিসার ইনচার্জ তাওহীদুর রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়নি।পুলিশ টহল জোরদার রয়েছে।
্উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন স্থানীয় ভাবে,লকডাউন কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ লিপ্ত হয়েছেন ঘটনাটি তিনি শুনেছেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।