করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন সৌদী প্রবাসী সরাইলের সারোয়ার হোসেন দস্তগীর (৪৮)। সরাইল সদর ইউনিয়নের নতুনহাবলী (সাগর দীঘির পাড়) গ্রামের প্রয়াত বাবু ঠাকুরের ছেলে। গত বুধবার রাতে তিনি সৌদী আরবের জেদ্দায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সারোয়ারের মৃত্যুতে একটি পরিবারের সুখের স্বপ্ন মুহুর্তের মধ্যে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। পারিবারিক সূত্র জানায়, সারোয়ার দীর্ঘ ২৫ বছরের ও অধিক সময় ধরে জেদ্দায় আছেন। জেদ্দা বিমানবন্দরের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যাতায়তের গাড়ির চালক ছিলেন সারোয়ার। বছর দেড়েক আগে তার একমাত্র ছেলে ছায়েম ঠাকুরকে জেদ্দায় নিয়ে ওই ক্যাটারিং সেন্টারের হোটেলে চাকরি দিয়েছেন। পিতা-পুত্র থাকতেন একই কক্ষে। ক্যাটারিং সেন্টারের হোটেলেই খাওয়া দাওয়া করতো ছায়েম। স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ শিশু কন্যা নিয়ে ভালই চলছিল সারোয়ারের সংসার। সন্তানদের মধ্যে সবার বড় সায়েম ঠাকুর (২১)। আর শিশু কন্যা ছায়মা ঠাকুর (১২) শাফা ঠাকুরকে (০৬) নিয়ে জেলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন সারোয়ারের স্ত্রী শিখা বেগম। কিছু দিন পূর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে সারোয়ারের ছেলে সায়েম। তাকে কোম্পানীর হাসপাতালেই ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছেলে ছায়েমের পাশে থেকে সেবা শুশ্রষা করেছেন পিতা সারোয়ার হোসেন। সায়েম আস্তে আস্তে সুস্থ্য হয়ে ওঠেছে। তার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল। তবে এখনো সে হাসপাতালেই আছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক ভাবে ছেলের পরই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন সারোয়ার। সারোয়ার দীর্ঘদিন ধরে ডায়বেটিস ও শ্বাসকষ্ট রোগেও ভুগছিলেন। গত বুধবার রাতে সারোয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সারোয়ারের মৃত্যুর অবিশ্বাস্য সংবাদ পেয়ে স্ত্রী ও শিশু ২ কন্যা সন্তানদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটির মৃত্যুর খবরে শোকের সাগরে ভাসছে স্বজনরা। সেই সাথে শোকের মাতম চলছে গোটা নতুনহাবলি গ্রামে। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া বলেন, এ বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। এইমাত্র আপনার কাছ থেকে (প্রতিবেদকের) জানলাম।