যশোরের কেশবপুরের পল্লীতে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ এনে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে হস্তক্ষেপ কামনা করে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগিরা।
অভিযোগে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের চাঁদড়া গ্রামের মৃত কিনু মোড়লের পূত্র নজরুল ইসলাম একজন কুখ্যাত প্রতারক, ছিনতাইকারী, মাদকব্যাবসায়ী, নারী পাচারকারী। সে বিভিন্ন সময় নারীদের নিয়ে ভারতে পাচার করে। এলাকাবাসী অভিযোগে উল্লেখ করেছেনে যে, নজরুল ইসলাম এ পর্যন্ত ২৩টি বিবাহ করেছে। বিবাহিত স্ত্রীদের দিয়ে সে মাদক ও নারী পাচার কজে জড়িত। যশোর জেলার চৌগাছা থানার একটি মেয়েকে বিবাহ করে। তাকে দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করাকালীন ২ হাজার পিস ইযাবা-সহ গ্রেফতার হযে চট্টগ্রাম জেলহাজতে কারাভোগ করে। এর আগে বাঘারপাড়া থানার একটি মেয়েকে ধর্মবোন বানিয়ে তাকে ৬ নং স্ত্রী হিসাবে বিবাহ করে। সে স্ত্রীকে পাচার করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ঢাকার গুশশান ২ থানার রয়েল এজেন্সির মালিকের নামে মিথ্যা পাচার মামলা দিয়ে তার নিকট হতে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও নজরুল ইসলাম বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হতে মোটা অংকের টাকা ছিনতাই করে। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে সে তার বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা ছিনতাই মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের সামাদ গোলদারের পূত্র নজরুলের নিকট হতে ত্রিমোহিনী বাজারের পাশে ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে। ওই ঘটনায় নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা হলে সে ১ বছর সাজা ভোগ করে। নজরুল যশোর সদরের রেল রাইনে হিরোইন-সহ কোতআলী থানা পুলিশের হাতে আটক হয়ে দীর্ঘদিন করাবাস করেন। নারী পাচারকারী নজরুল নিজের মেয়েকে গোপন করে তারপর স্ত্রীকে বাদী করে মণিরামপুরের মশ্মিমনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের আবদুল গফ্ফারের পূত্র বেলতলা বাজারের সেলুনের দোকানদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় বেনাপোল পোট থানার দারগা নারায়ন চন্দ্র তদন্তকালে স্ত্রীর করা মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় নজরুলকে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছিলেন। ইতোমধ্যে নজরুল জেলখানা থেকে বের হয়ে তার কয়েকজন স্ত্রীকে নিয়ে আবার মাদক ব্যবসা-সহ বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেছে। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলে নিরীহ মানুষদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে।
এলাকাবাসি নজরুল ইসলামের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযোগের এ ব্যাপারে নজরুল ইসলামের সাথে আলাপ করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক। এলাকার কতিপয় মানুষ ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে হয়রানি করছে।