করোনা পরিস্থিতিতে হুমকি-ধামকি নয়, সময় এখন পাশে দাড়ানোর কিন্তু নেত্রকোনার পূর্বধলায় গত ২১ এপ্রিল পূর্বধলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন চিকিৎসক করোনা পজেটিভ ধরা পরে। খবরটি প্রকাশ হবার পর স্থানীয় সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আখতারকে সংবাদটি কেন তাকে আগেই জানানো হলোনা এর জন্য দেখে নেয়ার হুমকি দেন। যার অডিও নেট দুনিয়াই ভাইরাল হয়।
করোনার সার্বিক পরিস্থিতি তাকে জানাতে দেরি হওয়ায় তিনি ডা. মাহমুদা আখতারের সাথে মোবাইলে অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন। অপর প্রান্তে ডা. মাহমুদা আখতার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্জ ও সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়ের কারণে বিলম্ব হচ্ছিল জানালেও তিনি (সাংসদ) বিষয়টি আমলে নেননি।
এদিকে করোনা মোকাবেলায় ও জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পূর্বধলায় কর্মরত ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সাংসদের এমন আচরণ কর্তব্যে নিয়োজিত সবাইকে মর্মাহত ও হতাশ করেছে।
এ বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের মহাসচিব ডা. আব্দুল আজিজ জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। দুইজন ডাক্তার আক্রান্তের খবরে স্থানীয় সাংসদের সমবেদনা ও উৎসাহের বদলে এমন রূঢ় আচরণ খুবই দুঃখজনক।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচরণ খুবই হতাশাজনক। যারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজের পরিবারের মায়া বাদ দিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তাদের কোন বিষয়ে হুমকি-ধামকি বা দেখে নেয়ার ভয় দেখানো কোনভাবেই কাম্য নয়। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না ফেলিয়ে সময় এখন তাদের পাশে দাড়ানোর।