দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে অনলাইনে মানুষের দোরগোড়ায় ই-কমার্স কোম্পানিগুলো নিত্যপণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে দিন দিন অনলাইনে নিত্যপণ্য কেনাকাটার চাপ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় সময়মতো পণ্য সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো। কারণ তাদের তাদের পর্যাপ্ত ওয়্যারহাউস ও ডেলিভারিম্যান নেই। এমন পরিস্থিতিতে এ খাতের উদ্যোক্তারা ই-কমার্স সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়্যারহাউস তৈরিতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে। তারা ই-কমার্স সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পোস্ট অফিসের অবকাঠামো উন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছে। ই-ক্যাব সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ই-কমার্স কম্পানিগুলো করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ঘরবন্দি মানুষের জরুরি পণ্য চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে ওসব প্রতিষ্ঠান এতো বেশি অর্ডার পাচ্ছে, যা সামাল দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এখন ওয়্যারহাউস প্রতিষ্ঠার দিকে জোর দিচ্ছে। একই সাথে ওসব প্রতিষ্ঠান সরকারের বিভিন্ন অবকাঠামোসহ পোস্ট অফিসের নিজস্ব ভবনে ওয়্যারহাউসের সুবিধা চাচ্ছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীও সম্প্রতি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাট-বাজার কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) যেসব ব্যবসায়ী এখনো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হননি তাদেরও এতে আসার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ প্রযুক্তির মাধ্যমে কেনাকাটার কাজ করা গেলে প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী সহজেই স্থবিরতা কেটে যাবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা থেকেও উত্তরণ ঘটবে। তবে নতুন যুক্ত হওয়া এবং পুরনো মিলে ই-কমার্সে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে গেলে পর্যাপ্ত ওয়্যারহাউস নির্মাণ করা জরুরি।
সূত্র আরো জানায়, ই-কমার্স পণ্য সরবরাহ নির্বিঘœ করতে প্রচুর স্মার্ট ওয়্যারহাউস তৈরি করতে হবে। এখন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্ডার আসছে। আর ওসব অর্ডারের পণ্য সময়মতো ডেলিভারি দিতে ওয়্যারহাউস জরুরি। সেজন্য পোস্ট অফিসকে সারা দেশে তাদের অবকাঠামোগুলো ওয়্যারহাউস সুবিধা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার জানান, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে আমরা নির্দেশনা হিসেবেই নিয়েছি। ই-কমার্স অবকাঠামোর উন্নয়নে নিরলস কাজ করছে ই-ক্যাব। ই-ক্যাবের সদস্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোও সে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ঘরে-বাইরে ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা গ্রাহকের দোরগোড়ায় নিত্যপণ্য ও সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। পাড়ার দোকানিরাও যেন এই সেবায় যুক্ত হতে পারেন সেজন্য আমরা তাদেরও এই প্ল্যাটফর্মে আনার উদ্যোগ নিয়েছি।