করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া শেরপুর জেলার তিন শতাধিক বেসরকারী কেজি স্কুলের প্রায় ৩ সহাস্রাধিক শিক্ষক বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসব স্কুলের অধিকাংশই চলে ভাড়া বাড়ীতে। আর স্কুলগুলোর সমস্ত খরচই চলে ছাত্র-ছাত্রীদের বেতনের টাকায়। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন পাচ্ছেনা। তাই স্কুলগুলো তাদের শিক্ষকদেরও বেতন দিতে পারছেনা। শুধু তাই নয়, স্কুলের ভাড়াও পরিশোধ করতে পারছে না তারা। এজন্য শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন, যেন তাদেরকে মানবিক সহায়তা বা প্রনোদনার আওতায় এনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করা হয়। বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন এ- প্রি-ক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশন শেরপুর জেলা শাখা ও বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্যপরিষদ (বিকপ) জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধনমন্ত্রীর কাছে প্রনোদনা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক আবু ইশা মো: শহীদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব নুর-ই-আলম চঞ্চল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তর গৌরীপুর মডেল স্কুলের চেয়ারম্যান মো: মেরাজ উদ্দিন জানান, বেকার ছেলেরাই সাধারণত কেজি স্কুলের সাথে জড়িত। এখান থেকে তারা কম বেতনেই পেয়ে থাকেন। এরইমধ্যে আবার স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। তাদের দিকে সরকারের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, তিনি শিক্ষকদের বিষয়টি বুঝেছেন। তাদেরকে কিভাবে সহায়তা করা যায় বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। যাতে তাদের সম্মানের হানি না হয়, সেদিকটা খেয়াল রেখে বেসরকারী শিক্ষকদের সহায়তা করা হবে।