আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের একজন কর্মী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সুখবর। তা হলো, আপনাকে আর গাড়িতে করে রাস্তার ভিড় ঠেলে অফিসে যেতে হবে না। ঘরে বসেই অফিসের সব কাজ করে দিতে পারবেন। ও হ্যাঁ, মাস শেষে আপনার বেতন সুড় সুড় করে চলে আসবে আপনার একাউন্টে। আজীবন বাড়িতে বসেই কাজ করতে কর্মরতদের বা স্টাফদের অনুমতি দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। তাই আপনি যদি এর একজন কর্মচারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনিও এই সুবিধা পাচ্ছেন বা পাবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
টুইটারের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে। এর কর্মীবাহিনীতে রয়েছেন প্রায় ৫০০০ মানুষ।
তারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে মার্চের শুরু থেকেই কাজ করছেন বাড়িতে বসে। কর্তৃপক্ষ দেখতে পেয়েছে, তাতে সুফল আসছে। অর্থাৎ, কাজের কোনো হেরফের হচ্ছে না। কর্মীরা অফিসে গিয়ে যে কাজ করতেন, বাড়িতে বসেও সেই একই কাজ করছেন। ফলে টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা এই ধারা অব্যাহত রাখতে চায়। তাই কর্মীদের কাছে একটি ইমেইল পাঠিয়েছেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডোরসে। এতি তিনি বলেছেন, কর্মীদেরকে ঘরে বসে কাজ করার পক্ষে আমরা অবস্থান নিয়েছি। গত দু’এক মাসে এটা প্রমাণ হয়েছে যে, আমরা এভাবে কাজ করতে পারি। তাই যদি আমাদের কর্মীরা এমন অবস্থায় থাকেন, যা তাকে বাসায় বসে কাজ করতে সুবিধা দেবে, তাহলে আমরা এই ধারা আজীবন অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা এটা করবো।
তবে যেসব কর্মী বাসায় বসে স্থায়ীভাবে তাদের কাজ করতে পারবেন না তাদের কি হবে। এমন প্রশ্ন থেকেই যায়। এ ক্ষেত্রে কোম্পানি বলেছে, তারা বছরের শেষ নাগাদ অফিস খুলতে পারেন। তবে অবশ্যই তা সেপ্টেম্বরের আগে নয়। উল্লেখ্য, নয়া দিল্লি, লন্ডন এবং সিঙ্গাপুর সহ সারাবিশে^ ৩৫টি অফিস আছে টুইটারের। ওদিকে ফেসবুক ও গুগলের মতো কোম্পানিও তার স্টাফদের ঘরে বাসে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে এ বছরের বাকিটা সময়।