আসন্ন ঈদ-উল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। করোনা প্রতিরোধে টানা লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ ছিলো। গত দুইদিন ধরে স্বল্প পরিসরে দোকানপাট খুললেও সবুজ হাওলাদার, কবির উদ্দিন, মিলনদের মুখে এবার আর ঈদের খুশি নেই।
সবুজ পেশায় একজন দর্জি। করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের কারণে তিনি এখনও দোকানে খুলেননি। কারণ এখন দোকান খুলে অন্যান্য বছরের ন্যায় আর অর্ডার ধরতে পারবেন না। তাই কি করে সন্তানদের মুখে ঈদের হাঁসি ফোটাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। শুধু সবুজ একই নয়; বরিশাল নগরীর অধিকাংশ দর্জিদেরই একই অবস্থা। দর্জি দোকানে যারা কাজ করেন, তারাও পরেছেন চরম সমস্যায়। দর্জিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারাবছর টুকটাক কাজ চললেও ঈদ ও পুজোর সময় তাদের দম ফেলার সময় থাকেনা। মাস দু’য়েক আগে থেকেই অর্ডার নেওয়ার পাশাপাশি দিন-রাত সমান তালে চলে সেলাইয়ের কাজ। ওই দুই মৌসুমে সেলাইয়ের কাজ করেই তাদের পরিবারে সারাবছরের ভরন পোষন চলে। কিন্তু এবারে সেই সম্ভাবনায় বাদ সেধেছে করোনা। অর্ডার নেওয়ার সময় থেকেই লকডাউনের কারণে তাদের দোকানে তালা ঝুলছে। হাতে আর বেশি সময়ও নেই। এরমধ্যে কখন অর্ডার পাবেন, আর কখন সেলাই করবেন, তা ভেবেই তারা অধিকাংশ দোকান বন্ধ রেখেছেন।
ছয় বছর ধরে দর্জির কাজ করছেন নগরীর কাজিপাড়া এলাকার সবুজ। তার দোকানে তিনজন কর্মী কাজ করেন। গত বছর ঈদে জামা প্যান্ট সেলাই করে ২৫ হাজার টাকা আয় হয়েছিল। তিনি বলেন, গত দুইদিন পূর্বে দোকান খোলা সত্বেও এখনও কোন অর্ডারই মেলেনি। কাশিপুর ইছাকাঠী শাহাপরান সড়কের কবির হোসেন বলেন, ঈদ আর পুজার কাজ করেই আমাদের সারাবছরের সংসারের খরচ চলে। এবার আর সেই আশা নেই। নথুল্লাবাদ এলাকার জুয়েল মিয়া বলেন, দর্জির দোকানে কাজ করেই আমাদের সংসার চলে। অন্যবার মালিকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েও ঈদের বাজার করা হতো। এবার দোকান বন্ধ থাকায় সেই সুযোগ নেই।