শিশুরা করোনা বোঝে না, ঈদ বোঝে। ঈদের আনন্দ বোঝে। আর ঈদ মানেই নতুন পোশাক। করোনা দূর্যোগে ঘরবন্দী শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে যখন মানবেতর জীবন যাপন করছে, তখন শিশুদের নতুন পোশাক দেওয়ার কথা ভাবতেই পারছে না এসব শ্রমজীবি মানুষ। তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদের নতুন পোশাক বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন মালদ্বীপ প্রবাসী জীবন রহমান মহন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মোকারিমপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ২২০ টি পরিবারের শিশুদের মাঝে তিনি এই নতুন পোশাক বিতরন করেন। নতুন পোশাক পেয়ে শিশু এবং শিশুর পিতা-মাতাদের মাঝেও হাসির ঝিলিক দেখা গেছে।
মুক্তমনা ফেসবুক এক্টিভেষ্ট হিসেবে পরিচিত জীবন রহমান মহন মালদ্বীপ প্রবাসী। তিনি ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের মরহুম আতিয়ার রহমানের পুত্র। তিনি বিদেশ থাকলেও গোলাপনগর ব্লাড ব্যাংক এবং হ্যালো মোকারিমপুর নামে দুটি সমাজসেবা মুলক সংগঠনের মাধ্যমে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষদের কল্যানে কাজ করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ তিনি ২২০টি পরিবারের শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরন করেন। এ কাজে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন হ্যালো মোকারিমপুর এবং ব্লাড ব্যাংকের তরুন কর্মীরা।
হ্যালো মোকারিমপুর’র সদস্য রুবেল খান রওনক ইসলাম জানিয়েছেন, মালদ্বীপ প্রবাসী জীবন রহমান মহন এর আর্থিক সহযোগিতা, দিক নির্দেশনায় ২২০টি পরিবারের শিশুদের জন্য ঈদের নতুন পোশাক কেনা হয়। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডেই হ্যালো মোকারিমপুরের সদস্যরা রয়েছে। তারা সর্বাধিক অসহায় এবং সুবিধাবঞ্চিতদের তালিকা তৈরী করেছে। সে অনুযায়ী শিশু ছেলে মেয়েদের ঈদের পোশাক হিসেবে নতুন জামা, ফতুয়া, জিন্স প্যান্ট, শার্ট, ফ্রগ ইত্যাদি ক্রয় করে ভ্যানে করে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। ব্যাতিক্রমি এ পোশাক বিতরনে মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
জীবন রহমান মহন শিশুদের নতুন পোশাক বিতরনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আজ আমার লাইফের শ্রেষ্ঠ আনন্দময় দিন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রায় ২২০ জন অসহায় ছোট-বড়দের মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ করতে পেরেছি। ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে যে হাসি তাদের মুখে দেখেছি সে হাসিতে আমি বিমোহিত। এই হাসির মূল্য কোটি টাকা দিলেও কেন যাবেনা। আজ আমি সত্যিই আনন্দিত।