‘তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ/ দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ’। দান করে বা সম্পদ দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মতো মানবতার কল্যাণের চেয়ে উত্তম আর সুন্দর আর কোন কাজটিইবা থাকতে পারে! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী এমন অভূতপূর্ব পরিস্থিতি ও বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে চরম বৈশ্বিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে দুনিয়ার অনেক দেশ ও শহর। এই দুর্যোগ ও মহামারির সঙ্কটে আমাদের থেমে থাকলে চলবে না। কৌশল আর পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এখন দরকার সততা ও দেশপ্রেমের পরীক্ষায় সবাইকে উত্তীর্ণ হয়ে এই সঙ্কটকে রোধ করা। কোভিড নাইনটিনের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীর অর্থনীতি। কর্মহীন হয়ে পড়েছ অগণিত মানুষ। সচ্ছল অনেক পরিবারও আজ সঙ্কটে পড়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নেই। এ ধরনের পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র ও সরকারকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একতাবদ্ধ হয়ে সর্বসাধারণের সর্বোচ্চ সহায়তা করা একান্ত আবশ্যক। সময় এখনই দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ধার্মিক ও মানবিক বোধে উজ্জীবিত হয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর। সামনেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মেই সমাজের বিভিন্ন স্তরে সেবা, সাহায্য, দান ইত্যাদির তাগিদ রয়েছে।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের ভাষায়, ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, সাদা-কালো নির্বিশেষে একই কাতারে মিলিত হওয়া মানবসম্প্রীতির এক অনন্য নিদর্শন পবিত্র ঈদ। সুতরাং ঈদুল ফিতরের অর্থ দাঁড়ায় দান-খয়রাতের মাধ্যমে ঈদের উৎসবকে আনন্দে উদ্ভাসিত করে তোলা। কবি নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী/ সেই গরিব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ’। যাকাত-ফিতরার মাধ্যমে ধনী ও গরিবের মধ্যকার ভেদাভেদ দূরীভূত হয়। ঈদুল ফিতরের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতায় পরস্পরের শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজে ভারসাম্যমূলক মানবিক ও সামাজিক সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এটাই কিন্তু ঈদুল ফিতরের সামাজিক ও অর্থনৈতিক তাৎপর্য।
অধিক বিত্তে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ ক্ষয় হয়ে যায়
যাকাত হচ্ছে সম্পদের কৃতজ্ঞতা এবং পবিত্র করার পথ। অর্থ-বিত্ত, সহায়-সম্পত্তির আধিক্য মানুষের অন্তরকে নষ্ট করে দেয়। অধিক বিত্তে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ ক্ষয় হয়ে যায়। কৃপণতা ও অমানবিকতা অন্তরে বাসা বাধে। সমাজ ও পরিবারে হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা দেখা দেয়। অসহায় বঞ্চিত দরিদ্র শ্রেণির মনে ক্ষোভ জন্মে। সন্ত্রাস চাঁদাবাজির অত্যাচার দিন দিন বাড়ে। বিত্তবানদের ঘরে নৈতিকতা ও মানবিকতার চর্চা না থাকলে স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের ভেতর কঠোরতা, নিষ্ঠুরতা, হতাশা, মাদকাসক্তি ইত্যাদির প্রবণতা দেখা দেয়। এসব সমস্যা থেকে বিত্তবানকে মুক্তি দেয়ার জন্য আল্লাহ যাকাত ফরজ করেছেন। অসহায় ভাগ্যবিড়ন্বিত বান্দাদের জন্য বিত্তবানদের সম্পদে অংশ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এদেশে কিছু বিত্তশালী ব্যক্তির সুখ্যাতি আছে তাদের যাকাত ব্যবস্থাপনার জন্য। নিজ আত্মীয়স্বজন ও এলাকার মানুষকে তালিকাভুক্ত করে, গরিবদের সচ্ছল করে দেয়া, ঘরবাড়ি, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, বিয়েশাদি, বিদেশযাত্রা ইত্যাদির ব্যবস্থা তারা এমনভাবে করেছেন যা স্মরণীয়। ফরজ যাকাত ছাড়াও জনকল্যাণে ঐচ্ছিক দান ইসলামে অধিক উৎসাহিত করা হয়। যাকে সাদাকাহ বা খায়রাত বলা হয়।
সমাজ বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে
সমাজ বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে প্রত্যেকটি মানুষের ব্যক্তিগত কল্যাণ তার সামাজিক বৃহত্তর কল্যাণের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একজনের কাছে যে অর্থ আছে তা যদি অন্য এক ভাইয়ের সাহায্যার্থে ব্যয়িত হয় তবে এ অর্থই আবর্তিত হয়ে অভাবিতপূর্ব কল্যাণ নিয়ে পুনরায় তার হাতেই ফিরে আসবে। পক্ষান্তরে নিতান্ত সংকীর্ণ দৃষ্টির বশবর্তী হয়ে যদি সে তার নিজের কাছেই সঞ্চয় করে রাখে, কিংবা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থজনিত কাজে ব্যয় করে, তবে ফলত সে অর্থ ক্ষয়প্রাপ্ত হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কেউ যদি একটি অসহায় শিশুকে লালন-পালন করে এবং উপযুক্ত শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে উপার্জনক্ষম করে দেন, তবে তাতে সামাজিক সম্পদ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। সাহায্যকারী ব্যক্তিও তা থেকে অংশ লাভ করে থাকবে। কারণ, সে সমাজেরই একজন লোক। হতে পারে সাহায্যকারী ব্যক্তি রাষ্ট্রের মাধ্যমে আজ অথবা আগামীতে যে অর্থ অর্জন করবে তা ওই সাহায্যপ্রাপ্ত ইয়াতিমের বিশেষ যোগ্যতারই ফলে। যা সাহায্যকারী ব্যক্তি আদৌ জানতে পারেননি। কিন্তু প্রথমেই তার লালন-পালন করতে এবং তাকে শিক্ষা-দীক্ষা দিতে অস্বীকার করলে, তবে তো সে উদভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াতো, ছন্নছাড়া হয়ে, অকর্মণ্য হয়ে নিরুদ্দেশ হাতড়িয়ে চলতো। সামাজিক সম্পদ বৃদ্ধি করার মতো কোনো যোগ্যতাই সে লাভ করতে পারতো না। বরং সে অপরাধ প্রবণ হয়ে একদা স্বয়ং আপনার ঘারেই ছুড়ি ধরতে ও আপনার ঘরেই সিঁদ কাটতে প্রস্তত হবে। কোটি টাকার গাড়ি-বাড়ি, জমি-ফ্ল্যাট, সোনা-দানার মালিক হওয়াই সব শেষ নয়! জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এর অর্থ এ দাঁড়ায় যে, আপনি সমাজেরই এক ব্যক্তিকে অকর্মণ্য ও অপরাধ প্রবণ বানিয়ে কেবল তারই নয়-আপনার নিজেরও ক্ষতি সাধন করলেন। একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের এ সত্যটি মেনে নিতেই হবে যে, আমাদের জীবন, সুস্থতা, সম্পদ, মেধা ও জীবনী শক্তি মহান আল্লাহর দান। মহান আল্লাহ এসব আমাদের ব্যবহার করতে দিয়ে কেবল বিশ্বাস ও আনুগত্যটুকুই কামনা করছেন।
মানুষের সেবা
সর্বধর্মেই যেমন মানুষের সেবা করতে জোর তাগিদ রয়েছে, তেমনি ইসলাম মানুষকে আল্লাহর ওপর ঈমান আনা এবং তাঁর ইবাদতের ওপর যেমন জোর দেয়, তেমনি মানুষের সেবা করতেও জোর তাগিদ দিয়েছে। ইসলামে একে অপরের সাথে হাসিমুখে কথা বলাও ইবাদত বলে গণ্য। এসব আচরণ ও পেশাগত ইবাদতের পক্ষে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস রয়েছে। রাসূল (স) তাঁর সমগ্র জীবনে সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি অকৃপণভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। “রাসূল (স) জীবনে কখনো কোনো সাহায্য-প্রার্থীকে ‘না’ বলেননি।” মানবসেবাকে তিনি তাঁর জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কোনো অবস্থায় এ ব্রত থেকে বিচ্যুত হননি। মদিনা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরও তিনি বিলাসী জীবন যাপন করেননি। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তাঁর কাছে যেসব উপহার আসত তিনি তা গরিব-দুঃখীদের বিলিয়ে দিতেন। ইসলামে মানবসেবাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত আরেকটি হাদিসে। রাসূল (স) বলেন, ‘বিধবা ও অসহায়কে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য’ (বুখারি, মুসলিম)।
সমাজ এবং রাষ্ট্র সংশোধনে যাকাতের ভূমিকা
পরিপূর্ণভাবে যাকাত আদায়ের মাধ্যমে সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলার প্রধান এবং অন্যতম সফল হাতিয়ার হচ্ছে ইসলামি যাকাতব্যবস্থা। ইসলামের নির্দেশিত পন্থায় যাকাত প্রদান করার মধ্যদিয়ে সমাজ থেকে দরিদ্রতার বিষাক্ত ছোবল দূর হয়। কেননা সমাজ থেকে দারিদ্র-দূরীকরণেই যাকাতের প্রধান লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। যাকাত অসহায়, দুস্থ লোকদের উপর ধনীদের করুণা নয়; বরং ধনী ব্যক্তিদের যাকাতের মালের উপর তাদের (অসহায়-দুস্থ) লোকদের আল্ল¬াহ প্রদত্ত ন্যায্যাধিকার। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনÑ ‘তাদের (ধনীদের) সম্পদে ভিক্ষুক এবং বঞ্চিতদের হক রয়েছে’ (সূরা জারিয়াত : ৫১/১৯)। মহান আল্লাহ এ আয়াতের মাধ্যমে ধনীদের এ মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন, তোমাদের মালের একটা অংশ গরিব-দুখীদের মধ্যে বিলিয়ে দাও। সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায়, যাকাত নিছক দান-ই নয়; বরং গরিব-অসহায়-দুস্থ লোকদের ন্যায্য দাবি পরিশোধ করার একটি উত্তম মাধ্যমও।
রমযান ও যাকাত
দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী, সমাজ গঠনে যাকাত অনবদ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। যাকাতের মাধ্যমে সম্পদের প্রবাহ গতিশীল এবং সম্পদের পরিশুদ্ধি অর্জিত হয়, রাষ্ট্রের অর্থনীতি সচল হয়, উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, সমাজে এবং রাষ্ট্রে বেকারত্ব হ্রাস পায়। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেনÑ ‘আল্লাহ সুদ নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বাড়িয়ে দেন আর আল্ল¬াহ কোন অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না’ (সূরা বাকারা : ২/২৭৬)। রমযান মাসের সাথে যাকাতের একটা সম্পৃক্ততা রয়েছে। কারণ অধিকাংশ মানুষই যাকাতের জন্য রমযান মাসকে বেছে নেয়। যাকাত মানুষের মনে খোদাভীতি ছাড়াও পবিত্র ও উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। যাকাত সম্পদের অপচয় রোধ করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি যাকাত মানুষের আত্মিক প্রশান্তি, নৈতিক উন্নতি, সম্পদ বৃদ্ধি, পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধতা নিশ্চিত করে সমাজ থেকে অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলা দূর করে। পারস্পারিক সৌহার্দ ও সম্প্রীতি স্থাপনে যাকাত যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে। যাকাত সামাজিক নিরাপত্তাদানের পাশাপাশি সমাজের মানুষের মধ্যে সম্পদের বৈষম্য দূর করে। আল্লাহ নির্ধারিত নিয়মে যাকাত প্রদান করার ফলে সামাজিক সম্প্রীতি এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। যাকাত দেয়ার ৮টি খাতের মধ্যে দরিদ্র, অসহায়, ঋণভারে জর্জরিত, বন্দী-ক্রীতদাস, বিপদগ্রস্ত মুসাফির, আল্লাহর পথে জিহাদরত সৈনিক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। যাকাত শুরু করতে হবে নিজের দরিদ্র আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী ও সম্পর্কিত লোকজনকে দিয়ে।
যাকাতের ধর্মীয় তাৎপর্য
যাকাতের ধর্মীয় ফজিলত অনেক। পাপ মোচনে যাকাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ব্যাপারে রাসূল (স) ইরশাদ করেনÑ ‘আর সদকা (যাকাত দান) গোনাহ মিটিয়ে দেয়, যেমনিভাবে পানি আগুন নিভিয়ে দেয়।’ যাকাত দাতাকে নবীজি বেহেশতে যাওয়ার সুসংবাদ প্রদান করেছেন। ইসলাম শুধু ধনী পুরুষ জাতির ওপরই যাকাত ফরয আমল হিসেবে নির্ধারণ করেনি, পাশাপাশি ধনী নারী জাতিকে যাকাত আদায় করার প্রতি উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং অনুপ্রেরণা প্রদান করেছে। যাকাত দাতা আল্ল¬াহ এবং বেহেশতের অতি নিকটবর্তী, তা উল্লে¬খ করে রাসূল (স) বলেন, ‘দাতা ব্যক্তি আল্লাহর নিকটে, বেহেশতের অতি নিকটে, মানুষের নিকটে, অথচ দোজখ থেকে দূরে, আর কৃপণ আল্লাহ থেকে দূরে, বেহেশত থেকে দূরে, মানুষ থেকে দূরে, অথচ দোজখের নিকটে।’ তাছাড়া হাদিসে আরও উল্লে¬খ আছে, ‘নিশ্চয় মূর্খ দাতা কৃপণ সাধক অপেক্ষা আল্লাহর অতি প্রিয়।’
যাকাত আল্লাহর নির্ধারিত একটি ফরয আর্থিক ইবাদত। যাকাত আদায় না করলে পরকালে ভয়াবহ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনের ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা সোনা-রূপা জমা করে অথচ আল্ল¬াহর রাস্তায় খরচ করে না, তাদের কষ্টদায়ক আজাবের সংবাদ দিন; যেদিন গরম করা হবে সেগুলোকে দোজখের আগুনে, অতঃপর দাগ দেয়া হবে সেগুলো দ্বারা তাদের ললাটে, তাদের পার্শ্বদেশে, তাদের পৃষ্ঠদেশে এবং বলা হবে, এখন স্বাদ গ্রহণ কর তার, যা তোমরা দুনিয়াতে জমা করেছিলে’ (সূরা তাওবা : ৯/৩৪-৩৫)। কোনো মুসলমানের জন্য যাকাত প্রদানে অনিয়ম, অবহেলা বা গড়িমসি করা ঠিক নয়। কারণ, এটা একদিকে আল্ল¬াহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম, অন্যদিকে সমাজের দারিদ্রপীড়িত মানুষের অধিকার। কেউ এ অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেললে সে আল্ল¬াহর অসন্তুষ্টির পাত্র হবে, এটাই স্বাভাবিক।