করোনার কারণে অর্থনৈতিকভাবে লন্ডভন্ড ৩৩টি শ্রমজীবি পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রবাসী সমাজকর্মী হাসানুল হক। ৩৩টি পরিবার কে পুরো রমজান মাসের খাদ্য, ইফতার ও ঈদ সামগ্রী দিয়েছেন। বিতরনের অপেক্ষায় রয়েছে ঈদের দিনের জন্য মাংশ এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের নতুন পোশাক। হাসানুল’র র এমন মহানুবতায় হাসি ফুটেছে অসহায় পরিবার গুলোর মাঝে।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার আড়কান্দি গ্রামের মরহুম ফজলুল হকের পুত্র হাসানুল হক। তিনি কুয়েত প্রবাসী। বৈশ্বায়িক মহামারি করেনা ভাইরাসের কারণে ঘরবন্দী হয়ে পড়া শ্রমজীবি মানুষ হঠাৎ বেকার হয়ে পড়েছে। তারা চোখে সর্ষের ফুল দেখতে শুরু করেছে। শিশু সন্তানদের নিয়ে অসহায়ের মত মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমন ৩৩টি পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
আড়কান্দি গ্রামের চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। হাসানুল হক তাদের মধ্যে ৩৩টি পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। পুরো রমজান মাসের জন্য তাদের কে দিয়েছেন ৩০ কেজি চাউল, ডাউল, আলু, সয়াবিন তেল, ছোলা, খেজুর, লবন, পিয়াজ, সাবান। ঈদের দিনের জন্য দিয়েছেন পোলাও চাউল, পাঁচতারা সেমাই, লাচ্চা সেমাই, চিনি, দুধ, মসলা। তিনি আরো জানান, ঈদের আগের দিন প্রত্যেকের জন্য সোয়া কেজি করে মাংশ এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের নতুন পোশাক শাড়ি, লুঙ্গী বরাদ্ধ করেছেন।
কুয়েত প্রবাসী হাসানুল হক জানিয়েছেন, বিদেশে থাকলেও মনটা সব সময় পড়ে থাকে সোনার বাংলাদেশেই। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগে। করেনা’র কারণে শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব মনে করেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তিনি সমাজের বৃত্তবানদের উদাত্ত আহবান জানান, দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের মুখে হাসি ফোটানো আমাদের দায়িত্ব।