ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ-রুটে ঘরমুখি মানুষের চাপ ততই বাড়ছে। এ সময় শত শত যাত্রী ফেরি পার হয়ে ঘরে ফিরছেন। তবে সামাজিক দুরত্বতা বজায় রাখার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি জনসাধারনের মাঝে। এ সময় গাদাগাদি করে ঘরমুখি ফেরি পারাপার হতে দেখা গেছে সাধারন মানুষের। এদিকে মহাসড়কে গনপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীরা পরেছেন দুর্ভোগে।
সোমবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা গেছে। তবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে ছিলো না প্রশাসনের তেমন কোন নজরদারি। সাধারন মানুষও স্বাস্থ্য বিধি না মেনে গা ঘেষে চলাচল করতে দেখা গেছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই পার হচ্ছে মানুষ।
করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য সরকার ২৫ মার্চ থেকে গণপরিবহন বন্ধ রাখে। তবে প্রাইভেটকার, মাক্রোবাস, অটো, টেম্পু সহ বিভিন্ন প্রকার ছোট ছোট যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় ফেরি ঘাটে ঘরমুখি যাত্রীরা ছোট ছোটি এসব যানবাহনে পারাপার হতে দেখা গেছে।
পণ্যবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স নদী পারাপার করার জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় ১০টি ফেরি চলাচল করছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, পন্যবাহী যানবাহন ও মাক্রোবাস চলাচল বেড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহু রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সীমিত আকারে ছোট বড় ১০টি ফেরি চলাচল করছে। তবে বেলা যত গড়িয়ে যায় যানবাহন যাত্রীদের সংখ্যা ততই বাড়তে থাকে। আর ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে সাধারন মানুষ ও যানবাহনের চাপও তত বাড়বে বলে জানান তিনি।