ঝালকাঠির নলছিটিতে শ্বাসকষ্ট ও জ্বর-কাশি নিয়ে মৃত পোশাক শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ এসেছে। (১৭ মে) সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে তসলিম উদ্দিন খান (৩৯) নামে নারায়নগঞ্জের এক পোশাক শ্রমিক নলছিটিতে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে বসে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এরপরই তার নমুনা পাঠানো হয়েছিল। জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন হওয়ার পরে কাউকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলোশন ইউনিটে ভর্তি না করায় সাধারন মানুষের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রথম থেকে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের আইসোলোশনে না নেওয়ায় তাদের সষ্পর্শে আসায় অনেকেই আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই যদি আইসোলোশনে নেওয়া হত তবে রোগীর সংখ্যা কমে যেত বলেও জানিয়েছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (১৯ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শিউলি পারভীন। তিনি বলেন, রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই স্থানীয় প্রশাসন ওই বাড়িটি লকডাউন করেছে। পাশাপাশি আজ সকালে লোক পাঠানো হয়েছে, যারা মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা পরিবারের ৯ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা টেষ্টের জন্য ল্যাবে
পাঠাবে।
উল্লেখ্য গত রোববার (১৭ মে) সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে তসলিম উদ্দিন খান (৩৯) নামে নারায়নগঞ্জের এক পোশাক শ্রমিক নলছিটিতে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে বসে মৃত্যু হয়। ব্যক্তি নলছিটি পৌরসভার নাঙ্গুলী এলাকার মুনসুর খানের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, তসলিম উদ্দিন নারায়ণগঞ্জের পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সে গ্রামের বাড়ি নলছিটিতে আসেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মুনীবুর রহমান জুয়েল সাংবাদিকদের জানান, প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ও জ্বর-কাশি নিয়ে আসায় শুক্রবার (১৫ মে) তসলিমের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই তসলিমের মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে ঝালকাঠি জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত কোন রোগীর মৃত্যু হলো। আর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী এ জেলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে যারমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে ১২ জন সুস্থ হয়েছেন
এরইমধ্যে। সুস্থ হওয়াদের মধ্যে অনেকেই বাড়িতে থেকেই করোনার চিকিৎসা নিয়েছেন।