রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের প্রামানিক পাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে একটি নিরীহ পরিবারের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক কিশোরীসহ ৪ নারীর শ্লীলতাহানীসহ বেধড়ক মারপিট ও ছুড়িকাঘাতে আহত করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আহতদের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৫০), আতিয়ার রহমান (৬০), আরিফুল ইসলাম (২৫), কাওছার প্রামানিকসহ ৮/৯ জনের একটি দল লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্রহাতে নিয়ে মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে আবদুল মতিনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আবদুল মতিনের স্ত্রী, মেয়ে ও বোন এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এতে আহত হয় ওই পরিবারের ওই ৪ জন নারী সদস্য। গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ঘটনার সংক্রান্তে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, মারপিটের ঘটনায় আহত হয়ে জান্নাতী আক্তার(১৭), হোসনেয়ারা(৪৫), মাকসুদা(৪০) ও মর্জিনা(৪০) হাসপাতালের ২য় তলায় ভর্তি হয়ে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে থেকে বাড়িতে গেছে। ভুক্তোভোগী পরিবারের অভিভাবক আবদুল মতিন জানান, মুই বাড়িত না থাকার সুযোগে রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন মোর বাড়িতে ঢুকি মোর কিশোরী মেয়ে, বউ, বোন আর ভাবীকে মারধর করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ ঘটনায় মুই থানাত মামলা করার পর এখন থানার এস.আই কামাল পুলিশ উল্টো মোকে হুমকি দেয়ছে মোক নাকী জেলত ঢুকাইবে।। অভিযুক্তো প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম বলেন, যা হবার হয়েছে। এখন মতিন মামলা যেহেতু আমার নামে মামলা করেছে তাই আইন কি করবে দেখা যাবে।
তারাগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ওসি জিন্নাত আলী বলেন, ১মে সয়ার ইউনিয়নের প্রামানিক পাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে মারপিটের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। যার মামলা নাম্বার- ০১, দন্ডবিধী আইনের ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩৫৪/৩২৬/৫০৬ ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।