জেলার দুর্গাপুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আবদুল জলিল (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭ ব্যক্তি। গুরুতর আহত অবস্থায় ইব্রাহিম ও মিরাস উদ্দিন কে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল জলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজন সূত্রে জানাগেছে, গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাতিমারাকান্দা গ্রামে সোমবার বিকেলে স্থানীয় মসজিদের ইমাম জয়নাল আবেদিনের ছোট ভাই মিরাস উদ্দিন ক্ষেতে মাছ ধরতে গেলে একই গ্রামের দুলালের ছেলে শাহ আলম বাধা দেয় এতে উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি শেষে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরদিন মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আবদুল জলিল অন্যান্য লোকজন সহ মাঠে ধান শুকাতে গেলে আগের দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুলাল মিয়ার লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ চালালে সংঘর্ষে আবদুল জলিল (৬৫) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। অপরদিকে জয়নাল উদ্দিন, শফিকুল মিয়া, খুর্শিদ মিয়া ও মুসলিম উদ্দিন কে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন বলেন, মাছ ধরার বিষয়কে কেন্দ্র করে ঐ খুনের ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি। এ ব্যপারে দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, খবর শুনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।