ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট পেয়েছে। নি¤œাঞ্চলের বাড়ী-ঘর প্রলাবিত হয়েছে। গত ক’দিন ধরে বিষখালী নদী ভাঙ্গনের তীব্রতায় হুমকির মূখে রয়েছে বিষখালী তীরবর্তী বিভিন্ন বসত-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা।
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সকাল থেমে থেমে হালকা ও ভাড়ী বৃষ্টি চলছে। বিষখালী নদীর জোয়ারের পানি স্বাবাভিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রলাবিত হয়েছে গ্রামীন জনপদের অসংখ্য বাড়ী-ঘর ও ফসলী জমি। বিষখালী নদীর তীরবর্তী ভেরীবাঁধ না থাকায়, নদীর তীরবর্তী আউরা, চিংড়াখালী, জয়খালী, কাঠালিয়া, আমুয়া, রঘুয়ারচর, দর রঘুয়ারচর, বাদুরতলাসহ বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকে কাঁচা ঘর-বাড়ী ও গ্রামীন মেঠো রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে বহু জলাশয়ের মাছ ও পানিতে ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত। উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতমধ্যে ১৪টি সাইক্লোন সেল্টার ও ঝুকিপূর্ণ এলাকার ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে মহাবিপদ সংকেত ঘোষনার পর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোকজন আসা শুরু করেছে। শুকনো খাবার মজুদ ও স্বাস্থ্য সেবার জন্য ৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা কন্টোল রুম ও ইউনিয়ন পর্যায় সতার্কতামূলক মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।