ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে পাবনার সুজানগরে প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বড় বড় গাছপালা উপড়েপড়া ছাড়াও প্রায় ৩‘শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যা রাত থেকে আম্পানের প্রভাবে উপজেলায় ঝড় ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। রাত ১২টার পর থেকে ওই ঝড় ও বৃষ্টি প্রচণ্ড আকার ধারন করে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হওয়া ওই ঝড় ও বৃষ্টি থেমে চলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত। টানা প্রায় ১৬ঘন্টার ঝড় ও বৃষ্টিতে সুজানগর পৌর শহর ছাড়াও উপজেলার সাতবাড়ীয়া, ভায়না এবং মানিকহাটসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বড় বড় গাছপালা উপড়ে পড়ে বেশ ক্ষতি হয়েছে। এ সময় ঝড়ে গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের তারের উপরপড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঝড়ের চেয়ে বৃষ্টিতেই বেশি দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে পৌর শহরের ৩নং, ৬নং এবং ৭নং ওয়ার্ডের প্রায় ৩‘শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ২/৪টি পরিবারের বসত ঘরের মধ্যে পর্যন্ত পানি ঢুকে পড়ায় তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও ডুবে গেছে ওই সকল বাড়িতে যাতায়াতের কাঁচা-পাকা রাস্তা। পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে আমার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পরিবারপরিজন নিয়ে আমি মানবেতর জীবন যাপন করছি। পৌর কাউন্সিলর আনিসুর রহমান খোকন বলেন পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অপরিকল্পিত বাড়ি-ঘর ও দোকাপাট। এসব বাড়ি-ঘর ও দোকানপাটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ পানি নিষ্কাশন ড্রেন। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তবে ভুক্তভোগী পানিবন্দি লোকজন বলেন শুধু অপরিকল্পিত বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট নির্মাণের কারণে নয়, ত্র“টিপূর্ণ ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীরা জলাবদ্ধতা দূরিকরণে পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।