চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ঘরবাড়ি-গাছপালা ও ফসলের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় ঘরের দেওয়াল ও গাছ চাপা পড়ে জীবননগরে এক নারীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপি চলা আম্পানের তান্ডবে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শতশত বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে পড়ে ব্যহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বুধবার (২০ মে) রাত ১০টা থেকে প্রচ- গতিতে আম্পান আঘাত হানে জীবননগরে। রাত বাড়ার সাথে সাথে ঝড়ের গতিবেগ ও বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকে। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে আম্পানের তান্ডব। আম্পানের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে উপজেলা। প্রধান প্রধান সড়কের পাশের শত বছরের অসংখ্য গাছ ভেঙ্গে সড়ক ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতেই বিভিন্ন গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সেল্টারহোমগুলোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়।উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে
জীবননগর উপজেলার বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, ঝড়ের সময় উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে গাছ চাপা পড়ে জুবাইর নামে ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই শিশু গ্রামের আত্তাব আলীর ছেলে। এছাড়া একই সময়ে উপজেলা শহরে ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে মোমেনা বেগম (৮৪) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার ইউসুফ আলীর স্ত্রী। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষানিকভাবে প্রতিটি পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে বোরো ধান, পানবরজ, ভুট্টাক্ষেত, আম ও কলাসহ উঠতি ফসলাদি বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে আম ও কলা প্রায় ৪০শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এখনো ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক জানান, জেলায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৮ মিলিমিটার।