কুমিল্লার হোমনা সদর ও আশে পাশের এলাকাভিত্তিক শপিংমলগুলোতে 'চোর-পুলিশ' খেলছে পোশাক, জুতা ও প্রসাধনসামগ্রী ব্যবসায়ীরা। পুলিশের অভিযান আঁচ করতে পারলে নিমিষেই সব বন্ধ; আবার পুলিশ চলে গেলে শাটার খুলে গোপনে চলে কারবার। খাদ্য, কৃষি ও জরুরী নিত্যপণ্য ব্যতিত অনায়াসে অন্যসব ব্যবাসয় করতে না পেওে অবশেষে কিছু ব্যবসায়ী পৌর কাঁচাবাজারের সাথে পোশাকের অস্থায়ী বাজার বসানোর চেষ্টা করছিল। করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কুমিল্লার হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিেেকলে পোশাকের এই অস্থায়ী বাজার উচ্ছেদ করেছে পুলিশ বাহিনী।
করোনা মোকাবেলায় অধিক মানুষের জমায়েত ঠেকাতে ওষুধ, কৃষি ও জরুরী নিত্যপণ্যের দোকান ব্যতিত দুপুর দু’টার পর থেকে গত ১২ মে দ্বিতীয় দফায় হোমনা উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ফলে পোশাক, জুতা, প্রসাধণসহ অননুমোদিত অন্যান্য সব দোকানপাট বন্ধ থাকার কাথা। করোনার বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ওই সব দোকানপাট বন্ধ রাখতে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট এবং পুলিশি অভিযানও ঠেকিয়ে রাখতে পারছে না। রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন ও পুলিশ। ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিয়ে ওল্টো পুলিশকে পাহারা দিয়ে গোপনে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ‘চোর-পুলিশ’ খেলা কিছু ব্যবসায়ী অস্থায়ী পৌর কাচাবাজারের সাথে বাঁশ ও ত্রিপল সাঁটিয়ে পোশাকের অস্থায়ী বাজার বসানোর চেষ্টা করছিল। পোশাকের সেই অস্থায়ী বাজার উচ্ছেদ করেছে পুলিশ বাহিনী।
এ ব্যাপারে সার্কেল এএসপি মো. ফজলুল করিম বলেন, মহিলারা শপিংমলগুলোতে গিয়ে সানন্দে কেনাকাটা করতে না পারার কারণে কিছু ব্যবসায়ী অস্থায়ী বাজার বসানোর চেষ্টা করছিল। চারদিকে করোনার প্রাদুর্ভাবেও লোকজন এসেও ভিড় জমাচ্ছিল। তাই দোকানপাট গুলোকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।