একদিকে করোনা, অপরদিকে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে অসংখ্য পাখির প্রাণহানির হাত থেকে রক্ষায় প্রাণান্তর চেষ্টায় এগিয়ে এসে মানবতার নজির স্থাপন করেছে খাদিজা জান্নাত মিম নামের (৮) এক শিশু। জামালপুরের মেলান্দহের কামদেববাড়িতে পাখির প্রতি ভালোবাসার টানে এবং তাদের জীবন রক্ষার্থে ভূমিকা রাখা শিশু মিম খায়রুল ইসলামের মেয়ে।
রাতভর ঝড় চলছিল। পরদিন সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির পাশের গাছের বাগানে অসংখ্য পাখি ছড়িয়ে ছিটেয়ে পড়ে আছে। মিম জীবন বাঁচানোর তাগিদে এই পাখিগুলোকে নিজের হেফাজতে নেয়। তাদের বাড়িতে পরিত্যাক্ত একটি কাঠের বাক্সের উপর পুরোনো টিনের ছাউনিতে সেই পাখিগুলো রেখে সেবা দিতে থাকে।
এরপর কী ঘটলো সেই উদ্ধারকৃত পাখিগুলোর জীবনে? অদ্ভুতভাবে শিশু মিম জানায়-আমি অসংখ্য পাখি উদ্ধার করি। সেবা দেই। এদের মধ্যে অনেক পাখি সুস্থ্য হয়ে ওড়ে গেছে। আবার অনেক পাখি মারা যাওয়ায় আমি খুব কষ্ট পেয়েছে। পরে মৃত পাখি গর্তকরে পুঁতে ফেলেছি।
শিশু মিমের পিতা খায়রুল ইসলাম জানান-পাখিদের জীবন রক্ষায় মিমের তৎপরতা দেখে আমিও মুগ্ধ হয়েছি। কিন্তু রাতভর ঝড়ের কারণে বেশ কিছু পাখির জীবন রক্ষা হয়নি।