নেই কোন মূল্য তালিকা, ভোক্তা অধিদপ্তর, কিন্তু নেই তাদের তৎপরতা
সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ঈদের বাজার এখন তুঙ্গে। হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতা সামলাতে। বস্ত্র বিপণিগুলোতে মালিক ও কর্মচারীদের দম ফেলার ফুরসত নেই। তবে ক্রেতা সাধারন জিনিসের দাম শুনে হতভম্ব হয়ে পড়ছেন। মাছ-মাংসের ও কাঁচাবাজারে দ্রব্যমূল্য টানানোর নির্দেশনা থাকলেও পার্বতীপুরে এখন পর্যন্ত কোন দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা টানানো হয়নি। এসব দেখার জন্য রয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর, কিন্তু নেই তাদের তৎপরতা। অন্যদিকে, বস্ত্র বিপণিগুলোতে ক্রেতা সাধারনের গলাকাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। সবচেয়ে বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে তৈরী পোশাক, জুতা-সেন্ডেল, কসমেটিক সামগ্রীর দোকানগুলোতে। তৈরী পোশাকের দাম এত বেশী নেয়া হচ্ছে যে, সেখানে ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্যরা তাদের সাধ্যের মধ্যে কোন কিছু কিনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তারা ফুটপাতের দোকানগুলোতে ছুটছেন।
জুলফিকার আলী বলেন, এসব দেখার কেউ নাই। আরেক ক্রেতা মেহেরাব আলী (৩০), বাড়ি উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের সোনাপুকুর গ্রামে। তিনি বলেন, আমরা কৃষকেরা যা কিছু বেচতে আসি তার কোনটার উপযুক্ত মূল্য পাই না। আর যা কিছু কিনতে আসি তার কোনটাতে হাত দেওয়া যায় না।
হামিদপুর ইউনিয়নের পাতিপাড়া গ্রামের আবদুর রহমান বলেন, আসলে দোকানদাররা সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিছে। ৩শ’ টাকার জিন্সের প্যান্ট ৮শ’ টাকার কমে মিলছে না। প্রতিটি শার্ট ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা নেয়া হচ্ছে। চামড়ার স্যান্ডেল সারা বছর ৫শ’ টাকায় পাওয়া যায়, এখন তা ৯শ’ টাকায় মিলছে না।
মেয়ের জন্য কাপড় কিনতে আসা হাবড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের রমজান আলী রুবেল বলেন, দুই মন ধান বিক্রি করে বড় জোড় সূতির থ্রী-পিস পাওয়া যায়। কিন্তু তার দাম চাওয়া হচ্ছে দুই হাজারের বেশি। তাও আবার মানসম্মত না। বাজারের প্রতিটি জিনিসের দাম নিন্ম আয়ের মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ শাহনাজ মিথুন মুন্নী বলেন, ইতোমধ্যে শহর ও গ্রামের হাট বাজারগুলোতে মূল্য তালিকা টানানোর জন্য বলা হয়েছে।