চলমান সময়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে অনেকেই যখন করোনার ভয়ে সচেষ্ট না হয়ে ঢিলেঢালা কর্মকাণ্ডে সময় যাপন করছেন। কেউ বা আবার উদ্যোগ নিচ্ছেন লোক দেখানো। জনপ্রতিনিধি,ভোটপ্রার্থী কিংবা নেতা (!) যখন নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। ঠিক সেই সময়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন আ.হামিদ মাস্টার। হামিদ মাস্টার নামেই যার সর্বাধিক পরিচিতি। যিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চাটমোহর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। যিনি নিরলসভাবে রাতদিন ছুটে চলেছেন দিগ্বিদিক। সচেতন করছেন করোনাভাইরাস বিষয়ে। হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের দিকে। খাদ্য সহায়তা,উপহার সামগ্রী প্রদানসহ রকম রকম কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে স্থান করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের অন্তরে।
আ.হামিদ মাস্টার প্রতিদিন উপজেলার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন সচেতনতা আর খাদ্য উপহার। নিজের দায়িত্ববোধ আর মানবসেবার দায়িত্ব নিয়েই এই উপজেলাবাসীর পাশে আছেন তিনি।
বলেও অনেকেই মনে করছেন। যেখানেই সমস্যা সেখানেই ছুটে চলছেন তিনি। তার এই ছুটে চলাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ। তিনি উপজেলার সাধারণ মানুষের কল্যাণে ও উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষ উপস্থিতির স্বাক্ষর রেখে চলেছেন অবিরাম। পুরো বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করা মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু হতে অদ্যাবধি তাঁর নিরলস আর সচেষ্ট কর্মকাণ্ডে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে। এই হলেন একজন হামিদ মাস্টার। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যার কর্মকাণ্ড শুধু পাবনা জেলা নয়,সারা দেশেই বিরল। এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে নিজস্ব অর্থায়নে,ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। যা অব্যাহত রয়েছে।
হিজড়া জনগোষ্ঠি,জুয়েলারী কর্মচারী,সেলুন মালিক-কর্মচারী,চায়ের দোকানী,নির্মাণ শ্রমিক,পত্রিকার এজেন্ট-হকার,হিন্দু সম্প্রদায়,মুচি সম্প্রদায়,আদিবাসী,মৎস্যজীবিসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষকে তিনি অব্যাহত গতিতে সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। প্রণোদনা দিয়েছেন মাঠ কাজ করা চাটমোহরের কতিপয় সংবাদকর্মীকেও। বাদ যায়নি মুক্তিযোদ্ধা,শিক্ষক ও গ্রাম পুলিশ। এ এক অনবদ্য প্রচেষ্টা।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ প্রতিরোধে তিনি ঘরে বসে না থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সমবেত হওয়া সাধারণ মানুষদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে,জনসচেতনতা তৈরি প্রশাসনকে দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পাবনা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার দুস্থ ও হতদরিদ্র পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সহায়তা। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে। তিনি ঘোষনা করেছেন,তাঁর উপজেলার কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে তাঁর নির্দেশনা মোতাবেক অসহায় দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাবেন বলে জানালেন পরোপকারী এই নেতা। চাটমোহর উপজেলাবাসীর প্রিয়জন এখন আ. হামিদ মাস্টার।