ফরিদপুরে গত ২৪ ঘন্টায় মুক্তিযোদ্ধাসহ আরও ১৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১৮ জন।
শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাব থেকে এ তথ্য জানা গেল।
ফরিদপুরে নতুন করে যে ১৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ১৪জন পুরুষ এবং এজন নারী। এদের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ৪ জন, বোয়ালমারী ও ভাঙ্গায় ৩ জন করে, নগরকান্দা ও চরভদ্রাসনে দুইজন করে এবং মধুখালীতে ১ জন।
জন ৪১ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ৩জন, এবং ৬০ বছরের উর্ধে আছেন ১ জন।
নতুন আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন একজন মুক্তিযোদ্ধা (৬৫)। তিনি ফরিদপুর শহরের বাসিন্দা এবং সদর উপজেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার। একই সাথে আক্রান্ত হয়েছেন তার ভাই (৫৬)। তারা শহরে একটি ওষুধের দোকান পরিচালনা করেন। ধারনা করা হচ্ছে এ দোকানে আগত ক্রেতাদের মাধ্যমে তারা আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত বাবিদের বেশির ভাগই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে আগত কিংবা আগতদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
ফরিদপুরের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মোট ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ফরিদপুরের ১৩০ এবং গোপালগঞ্জের ১২০টি। মোট পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ২৫ জন। এর মধ্যে ফরিদপুরে ১৯ জন। এ ১৯ জনের মধ্যে চারজন পুরতন রোগী। সে হিসেবে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১৫ জনের। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে ৪ ও ২ জনের বাড়ি রাজবাড়ীতে।
ফরিদপুরে মোট শনাক্ত ১১৮ জনের মধ্যে বোয়ালমারীতে ৩১ জন, ফরিদপুর সদরে ২৭ জন, নগরকান্দায় ২১ জন, আলফাডাঙ্গায় ১৭, ভাঙ্গায় ৯, চরভদ্রাসনে ৫, সদরপুরে ৪, মধুখালীতে ৩ এবং সালথায় ১ জন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ফরিদপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে যে ১৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আক্রান্ত সকলের শারীরিক অবস্থা যাচাই করা হচ্ছে। শানাক্তদের বাড়িতে রেখে কিংবা শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্থনান্তর করা হবে।