গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার খিরাটি গ্রামের কৃতিসন্তান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক এম এ মজিদ বার্ধক্য জনিত কারণে এ্যাপোলো হাসপাতালে ২১ মে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহির রাজিউন)। মৃত্যুকালে ওঁর বয়স হয়েছিলো ৯৬ বছর। মরহুমের জানাযার নামাজ ২২ মে শুক্রবার বিকাল ৩টায় নিজের প্রতিষ্ঠিত এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে ২ পুত্র ও ২ কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। পুত্র-কন্যা সবাই আমেরিকা প্রবাসী। বড়ছেলে আবু জোবায়ের মজিদ জানাযায় উপস্থিত সকলের নিকট তার পিতা এম এ মজিদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।
শিক্ষা অনুরাগী মহান এই ব্যক্তির মৃত্যুতে কাপাসিয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণ গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। এবং মরহুমের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
১৯৮৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে স্বল্প ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে তিনি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করলে অনেক দীর্ঘসূত্রিতার পর তার পক্ষে রায় আসে। কিন্তু ততোদিনে এরশাদ সরকার বিতর্কিত ৮৮ এর সংসদ ভেঙে দিতে বাধ্য হন।
পরে তিনি ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) আ স ম হান্নান শাহ্’র ইচ্ছায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে গাজীপুর-৪, কাপাসিয়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি অত্যন্ত সদালাপী ও হাস্যোজ্জ্বল ছিল। সব সময়ই দেশ, জাতীয় ও সমাজ নিয়ে চিন্তা করতেন। জীবিত অবস্থায় তিনি একাধিকবার এলাকার সাংবাদিকদের ঢাকার বাসায় নিয়ে যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে আপ্যায়িত করেছেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে তিনি তাঁর সমাজ ভাবনার কথা গুলো বলেছেন।
এছাড়াও তিনি কাপাসিয়া উপজেলার পূর্বপ্রান্তে খিরাটির নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন কাপাসিয়ার অন্যতম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজ। এলাকার বহু মানুষ তাঁর অবদানে দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।
মরহুমের জানাযায় শরীক হয়ে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলহাজ্ব খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা। কাপাসিয়া বিএনপির অভিভাবক হান্নান শাহ্ পুত্র শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন তাঁর মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন। তাঁর পরিবারের পক্ষে ব্যক্তিগত সহকারী মামুনুর রশীদ সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।