ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসনিরগরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে আরজিনা আক্তার(১৩) নামে এক কিশোরীর মৃত্যুর হয়েছে। শনিবার উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের সুচিউড়া গ্রামে এ দূঘর্টনা ঘটে। সে সুচিউড়া গ্রামের আব্বাস ফকিরের মেয়ে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নিহত আরজিনা পিতা গ্রামের পাশে ইটভাটায় ব্যবসা করে। প্রতিদিনের মত পিতার জন্য খাবার নিয়ে সকাল ১১ টার সময় অটোরিকশা করে যাওয়ার সময় গলায় থাকা ওড়না অটোরিকশার চাকার সাথে পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লেগে যায়। আহত ওই আরজিনাকে অটোরিকশা চালক চৈয়ারকুড়ি বাজারে পল্লী চিকিৎসক পরেশ দাসের তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী পার্বতী দাস জানায়,সকাল ১১ টার দিকে রাস্তার পাশে পুকুরে কাজ করার সময় দেখি একটি মেয়ে অটোরিকশার চাকার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গেছে। সাথে সাথেই আমিসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে তাকে গলা থেকে ওড়নার পেচঁ খুলে মাথায় পানি দেই।পরে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
পল্লী চিকিৎসক পরেশ দাস জানান,আহত মেয়েটি আমার কাছে আনার পর তাকে জিজ্ঞাসা করি তুমি কিভাবে আঘাত পেয়েছো। তখন মেয়েটি আমাকে জানায় অটোররিকশার চাকার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে । চালকের কোন দোষ নেই। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাজেদুর রহমান দূর্ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান,শনিবার রাত ৯টার দিকে জানতে পারি অটোরিকশার চাকার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে একটি মেয়ে মারা গেছে। সংবাদ পাওয়ার পর পরই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। যদিও আমরা দেরি সংবাদটি পেয়েছি। এ নিয়ে স্থানীয় কিছু লোকজনের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল বলে মনে হচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে একই গ্রামে পুলিশ এসল্টসহ আরও দুটি মামলা হয়েছে। ধারনা হচ্ছে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ফাসাঁনোর জন্য অন্য কোন প্রক্রিয়ায় মামলা দিতে পারে তাই সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে সে অনুযায়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।