ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে হঠাৎ কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুরের নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তি পাকাণ্ডআধাপাকা ইরি/বোরো ধান। এতে রাজিবপুরের মদনের চর ,মুন্সিপাড়া,করাতী পাড়া এলাকার ২৫টি স্কীমের ২শত বিঘা ক্ষেতের ধান পানিতে নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষকের মুখে হাসির পরিবর্তে বিষন্নতা বিরাজ করছে। ২/১ দিনের মধ্যে পানি কমে না গেলে তাদের প্রাণের ফসল নদীর স্রােতে অথবা পলি পড়ে মাটির সাথে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সরে জমিনে দেখা গেছে,ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা নদী সোনাভরির দু-কূলের বোরো ধানের আবাদি জমিগুলো পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে। কৃষক প্রান পণ চেষ্টা করছে ধান কাঁটার জন্য। কিন্তু ু ঠান্ডা পানি ও স্রােতের কারণে ঠিকমত কাটতে পাছেনা। মদনের চর গ্রামের স্কীমের মালিক আবদুল মালেক,সাইফুল ইসলাম,নুরুল ইসলাম,আব্দুর রশিদ,সায়েম উদ্দিন ও সানোয়ার হোসেন জানান,তাদের ১২টি স্কীমে প্রায় ৮০ বিঘা জমির দান সম্পুর্ন পানির নিচে। রাত পোহালে ধান কাটবে। কিন্তু ু সকালে ধান কাটতে গিয়ে দেখে ধানের উপরে স্রােত বয়ে যাচ্চে।মুন্সি পাড়া গ্রামের আবু সাইদ,আবুল কাশেম,আছির উদ্দিন,চান মিয়া, আজগর দেওয়ানী পাড়ার আলম জানান,তাদের ৮টি স্কীমে প্রায় ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। সম্বপূর্ণ জমির ধান পানির নিচে। করাতী পাড়ার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম,হাবিবুর রহমান হবি জানান,তাদের এলাকায় ৫টি স্কীমের প্রায় ৫০ বিঘা জমির পাকা ধান পানির নিচে নিমজ্জিত। পানির মধ্যে ধান কাঁটার জন্য কেউ কামলা দিতে চাচ্ছে ন্।া কামলা দিলেও বেশি মজুরী দিতে হচ্ছে। আর সারা দিনে, যে ধান কাটছে তাতে কামলার দাম উঠতেছে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আবু বকর সিদ্দিক জানান, আকস্মিক বন্যায় তার নদী এলাকার কৃষকরে মাথায় হাত পড়েছে। কৃষকের কয়েক মাসের অর্থ ব্যয় ও পরিশ্রম ১ রাতেই বিলিন হয়ে গেল। ওই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান,এ এলাকার কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ বন্যায় এ ক্ষতির কারণ।