রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট। এই নৌরুটে প্রতিদিন লঞ্চ ও ফেরী ঘাট দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন ও লক্ষ লক্ষ সাধারন যাত্রী পদ্মা পাড়ি দেয়। ঈদ মৌসুমে সেই চাপ কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়।
তবে বুধবার ছিলো তার একেবারেই ভিন্ন। যেখানে ফেরীর অপেক্ষায় যানবাহন ও যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে যাত্রী ও যানবাহনের অপেক্ষায় রয়েছে ফেরি। ঘাট এলাকাও ফাঁকা।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ রনি জানান, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ১৪ টি ফেরী চলাচল করছে।যানবাহন ও যাত্রীর চাপ একেবারেই কম।
দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ-পথের লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার মিলন হোসেন বলেন, দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশী সময় এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চ মালিকদের অনেক লোকসান হয়েছে। স্টাফদেরও ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ১৬টি লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের জন্য ঘাটে জীবাণুনাশক স্প্রে, সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশিকুর রহমান জানান, ঘাট এলাকা ও ফেরীতে সাধারন মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যাত্রীদের জান মালের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। তবে মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।