করোনা মহামারীতে দেশের আবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বেশি বিল চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন বিদ্যু বিতরণ কোম্পানিগুলো ভুল বিলের দায় নিতে নারাজ। বরং বলা হচ্ছে- যেভাবে যাকে যতো বিল করা দেয়া হয়েছে তা-ই পরিশোধ করতে হবে। তবে কোন গ্রাহক প্রকৃত বিল দিতে চাইলে তাকেই উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে ঠিক করে আনতে হবে। আর বিল পরিশোধ না করলে বিতরণ কোম্পানি লাইন কেটে দেয়ার হুমকি দিয়ে মাইকিং করে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। অভিযোগ উঠেছে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি বিল করে গ্রাহক হয়রানি করলেও বিদ্যুৎ বিভাগ বিতরণ কোম্পানির প্রতি নমনীয়তা দেখাচ্ছে। ভুক্তভোগী গ্রাহক এবং বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ব্যাংকে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বিলের বিলম্ব মাসুল তুলে দেয়। জুন মাসে তিন মাসের বিল একসঙ্গে দিলেই চলবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু মে মাসে এসেই বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহকের ব্যবহৃত বিদ্যুতের চেয়ে বেশি বিল করে। এমনকি দ্বিগুণ তিনগুণ পর্যন্ত বিল বেশি করা হয়েছে। গস্খাহকরা ওই বিল নিয়ে বিতরণ কোম্পানির অফিসে দৌড়াঝাঁপ শুরু করার পর বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়ে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ তাতেই নিজেদের দায় শেষ বলে মনে করছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ জানান, ভুল বিলের বিষয়টি করোনা পরবর্তী সময়ে সুরাহা করা হবে। তারপরও যদি কারও বেশি বিল নিয়ে সমস্যা হয়, তাহলে বিতরণ কোম্পানির অফিসে আসলেই ঠিক করে দেয়া হবে। অতিরিক্ত বিল পরে সমন্বয় করা হবে।