পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা যুবলীগ কর্মী চাঞ্চল্যকর তাপস দাস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য মতে গ্রেপ্তার হওয়া মনির হোসেনের জামিন বাতিল করেছে আদালত। আজ বুধবার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ ভার্চুয়াল আদালতের বিজ্ঞ জজ রোখসানা পারভীন এ জামিন আদেশ বাতিল করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। মনির বাউফল পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের ইউসুফ শরীফের ছেলে।
সুত্রে জানা গেছে, ২৪ মে রবিবার দুপুর দুইটার দিকে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আসম ফিরোজের সমর্থিত নেতা কর্মীদের সাথে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসম ফিরোজ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস দাস (২৯) ধারালো অ¯্ররে আঘাতে গুরুতর জখম হলে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিনই রাত সারে সাতটায় মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাপসরে বড় ভাই পংকজ দাস মেয়র জুয়েলকে প্রধান আসামী করে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ২৯ মে পৌরশহর থেকে মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পড়ে ১লা জুন এ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে মনিরের জামিনের আবেদন করলে আদালতের মেজিষ্ট্রেট মো. সিহাব উদ্দিন জামিনের আদেশ দেন। ওই জামিনের বিরুদ্ধে বাদীর পক্ষে এ্যাডভোকেট আজ ০৩রা জুন সহিদুল ইসলাম বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ ভার্চুয়াল আদালতে আসামী মনিরের জামিন বাতিলের আবেদন করলে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ রোখসানা পারভীন জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের এ্যাডভোকেট সহিদুল ইসলাম বলেন, ভিডিও ফুটেজ ও মামলার সাক্ষীদের দেখা মতে মনির এ হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত। তাই আসামীর জামিন বাতিল ও তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ তাপস হত্যা কান্ডের ন্যায় বিচারের প্রথম বিজয়।