নওগাঁর সাপাহারে আমের বাজার শুরু হলেও আম বাণিজ্য জমে উঠতে আরোও এক দু’সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। উপজেলায় প্রচুর পরিমানে রয়েছে আমের সেরা আ¤্রপলী, হাঁড়ি ভাঙ্গা ও বারী-৪ জাতের আম যা পরিপক্ক হতে কিছুটা সময় লাগাবে। সরকারী নিয়মানুযায়ী আ¤্রপলী বা রুপালী আম নামানোর জন্য জুন মাসের ২০তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে । সে হিসেবে এখনও কিছুটা সময় বাঁকী রয়েছে। আর ক’দিন পরে এই উপজেলায় আম বাণিজ্য শুরু হলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার লোকের আগমণ ও প্রস্থান ঘটবে। সে সময় হাজারো লোকের আনা গোনা ও সমাগমে সাপাহার দেশের করোনার হট স্পটে পরিণত হতে পারে বলে ধারণা করছেন অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ মহল। এই জন্য তারা আম বাণিজ্যের সময় অত্র উপজেলায় প্রশাসনিকভাবে কঠোর নজরদারী ও তদারকীর বিশেষ প্রয়োজন মানে করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান ইতোমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনিকভাবে সাপাহারের আম চাষী আম ব্যাবাসায়ী, হোটেল রেস্তোরা মালিক ও আবাসিক হোটেল মালিকদের নিয়ে দফায় দফায় করোনায় করণীয় সম্পর্কে মিটিং করা হয়েছে, প্রতিটি আমের ক্রয় কেন্দ্রের সামনে দু’জন করে স্বেচ্ছাসেবক রাখা, হাত ধোয়ার জন্য হ্যান্ড সেনেটাইজার, সাবান রাখার ব্যাবস্থা নিশ্চিত ও মাস্ক ব্যাবহার করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কেনা বেচার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এর পর সাপাহার থানা প্রশাসনের করণীয় সম্পর্কে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই এর সাথে কথা হলে ইতোমধ্যেই তিনিও সকল প্রকার সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে উপজেলা প্রশাসনের সাথে মিল রেখে এক যোগে সকল প্রকার ব্যাবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত ও গনসচেতনাতা বৃদ্ধির লক্ষে আম চাষী, আমব্যাবসায়ী, বেপারী ও সাধারণ জনগনের করণীয় সম্পর্কে নির্দেশিকা লিফলেট বিতরণের ব্যাবস্থা নিশ্চিত কর হয়েছে বলে জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন এর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিক ও বিষেজ্ঞদের সাথে এক মত প্রকাশ করে বলেন আম বাণিজ্য শুরু হলে সাপাহারে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে তবে এর মধ্যে থেকেই আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশা পাশি যে সমস্ত লোকের মাঝে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ বা উপসর্গ পাওয়া যাবে তৎক্ষনাত তাকে সনাক্ত করে পরীক্ষা ও আইসোলেশনে রাখার ব্যাবস্থা করা হবে। শেষে আমব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি কার্তিক সাহা জানান যে ইতো মধ্যেই উপজেলা প্রশাসনিক ভাবে যাবতীয় করণীয় সম্পর্কে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আমরা সকল আম ব্যাবসায়ীগন সে নিয়ম কানুন মেনে আম কেনা-বেচার চেষ্টা করব। উপজেলা ও জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে নওগাঁ জেলা হতে এ বছর প্রায় ৩শ’কোটি টাকার ৩ লক্ষ মে:টন আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।