লকডাউন ও করোনাকালে মানুষ যখন ঘরে অবরুদ্ধ তখন থেকেই চিকিৎসা সেবায় বিশেষ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান শ্রীমঙ্গলের আখলাক ফার্মেসির সত্বাধিকারী মনসুর আলম মাসুমকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে একটি সংগঠন।
কোনো সার্ভিস চার্জ ছাড়াই দিনরাত ২৪ ঘন্টা জরুরী ঔষধ লকডাউনের শুরু থেকেই হোম সার্ভিস প্রদান করে আসছে আখলাক ফার্মেসী এবং এখন পর্যন্ত এই সার্ভিস চালু রাখায় ও মানুষের সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে শ্রীমঙ্গলের অঙ্গীকার সামাজিক ও সাহিত্য পরিষদ।
গতকাল দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিস কক্ষে মনসুর আলম মাসুমের হাতে এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী। এ সময় উপস্হিত ছিলেন অঙ্গীকার সামাজিক ও সাহিত্য পরিষদের সভাপতি শেখ সারোয়ার জাহান জুয়েল, সম্পাদক মো. ছাইফুর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যরা।
মোহনা টেলিভিশনের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আতাউর রহমান কাজল বলেন, লকডাউন চলাকালে একদিন আমার জরুরী কিছু ঔষধের প্রয়োজন পড়ে। আমি আখলাক ফার্মেসীর হটলাইন নাম্বারে ( ০১৭১১-৩৩০০৭৪) রাত সাড়ে ১২ টায় ফোন দিয়ে ওষুধের চাহিদা জানাই। রাত ১টায় মনসুর আলম মাসুম ঔষধ নিয়ে আমার বাসায় এসে ওষুধ ডেলিভারী দিয়ে যান। ঔষুধের মুল্য ছাড়া তিনি কোন সার্ভিস চার্জ নেন নি।
বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কমের ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন এ প্রসঙ্গে বলেন, আখলাক ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী মাসুম, যিনি সম্পূর্ণ ফ্রি হোম ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা মানুষের বাড়ি বাড়ি জরুরী ঔষধসেবা দিয়ে চলেছেন। আমি নিজেও উনার এই হোম ডেলিভারি সেবা গ্রহণ করেছি। এটি অনেক বড় মানবসেবা। ব্যবসায়ী মনোভাবের বিপরীতে এখানে তার জনকল্যাণমূলক একটি উজ্জ্বল মানসিকতা রয়েছে। মানবিক মূল্যবোধ, আদর্শ-দৃষ্টিভঙ্গি আর পৃথক কর্মপরিকল্পনার উপরই টিকে থাকেন প্রতিটি মানুষ; প্রতিটি মানুষের জীবনযাপন। মানবতার এরূপ সেবামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মানসুর আলম মাসুম।
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল মাহমুদ বলেন, মনসুর আলম মাসুম করোনাকালে মানবসেবার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা অনুকরণীয়। কোন ধরণের সার্ভিস চার্জ ছাড়া ঔষুধ হোম ডেলিভারী দিয়ে মাসুম নিরবে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সকলে মানবসেবায় এগিয়ে আসলে আমাদের দেশটা সত্যিকার অর্থে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে ওঠবে।