নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫)কে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ধর্ষকের মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলা নং ১৭, ২৯ জুন ২০২০। অভিযুক্ত আবদুর রহিম রবিন (২০) পলাতক রয়েছে। ২৯ জুন সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুন্দল পুরের ৬ নং ওয়ার্ড বাড়ী পুকুর পাড় এলাকায় এ ধর্ষকের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার বিকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ধর্ষককে অনতিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবী করেছে জেলা যৌন হয়রানি নিমূলকরণ নেকওয়ার্ক।
নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দরা জানান, শুধু জুন মাসেই নোয়াখালীতে ৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গত ৩ জুন কবিরহাটে স্বামীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে ছয় জন মিলে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে। গত ৬জুন সেনবাগে দশ বখাটে মিলে বিশ বছরের এক প্রতিবন্ধিকে গণধর্ষণ করে। এই ছাড়া গত ১৫ জুন সদর উপজেলায় ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চলানো হয়।পূর্বের এক ধর্ষণের ঘটনায় জুন মাসেই এক ধর্ষক পুলিশের সাথে বন্দুক যু্দ্েধ নিহত হয়।
নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দরা আরোও বলেন, গত ২৯জুন বিকালে ঐ ছাত্রীর মা সেনবাগ উপজেলায় তার নানার বাড়ীতে যায়।এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর আবদুর রহিম রবিন (২০) ঐ ছাত্রীর ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাহিরের কাজকর্ম শেষ করে মেয়েটি ঘরে ঢুকলে রবিন তাকে জাপটে ধরে মারধর করে। তার হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এই সময় তাদের ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী এক গৃহবধূ ধস্তাধস্তি ও ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকলে রবিন পালিয়ে যায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়,ঐ ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যাক্ত করত রবিন।বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিলেও ওই ছাত্রী রাজি না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে রবিন।
কবির হাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)ফজলুল কাদের পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আবদুর রহিম রবিনকে আসামি করে মামলা করেছেন।অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।মঙ্গলবার সকালে ভূক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক,নোয়াখালী এর আহ্বায়ক মো:আবুল কাসেম, যুগ্ন-আহবায়ক এ.বি.এম.আবদুল আলীম সহ নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে নোয়াখালীতে জুন মাসেই ৪টি ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।একই সাথে নেতৃবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীর দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।