বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রত্নপুর ইউনিয়নের ঐচারমাঠ গ্রামের শুক্রবার রাতে ৯ম শ্রেনীর এক ছাত্রী বাল্য বিয়ে দিচ্ছিল। আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ সংবাদপেয়ে বরসহ তিন জনকে আটক করে নিয়ে আসে। ওই রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর’সহ তিন জনকে ৬ মাসের সাজা রায়দেন। তাদেরকে শনিবার সকালে বরিশাল জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা ও এসআই সুশান্ত কুমার সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের ঐচারমাঠ গ্রামের মৃত. মৃত্যুঞ্জয় মল্লিকের ছেলে মৃদুল মল্লিক (২৫)এর সাথে শুক্রবার রাতে কালকিনি উপজেলার চরবাহাদুরপুর গ্রামের জগদীশ মন্ডলের মেয়ে ও সিটিখান গার্লস স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী কেয়া মন্ডলের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল ছেলের বাড়িতে। স্থানীয়দের সংবাদে থানা পুলিশের এসআই সুশান্ত কুমার বর মৃদুল মল্লিক, তার মা স্বরষতী মল্লিক ও স্থানীয় মধুসুদন মল্লিকের ছেলে সুব্রত মল্লিককে বাল্যবিয়ে আসর থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের ওই রাতেই আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলামের ভ্রাম্যমান আদালতে হারিজ করা হয়। আদালতের বাল্য বিয়ের অপরাধে বরসহ তিন জনকে ৬ মাস করে সাজার রায় দেয়ন। তাদেরকে শনিবার সকালে বরিশাল কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
এব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম বলেন, বাল্য বিয়ে করার অপরাধে বর মৃদুল মল্লিকসহ তিনজনকে ৬মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।