নড়াইলের লোহাগড়ায় করোনাকালে সাধারণ মানুষকে নানা সেবা দিয়ে মানুষ প্রেমী হিসাবে আলোচনায় এসেছেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী সহ কয়েকজন সফল সংগঠক ।
বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, লোহাগড়ায় করোনার প্রভাব পড়ার সাথে সাথে মানুষকে সচেতন করাসহ সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে নিজ অর্থ ব্যয় ও বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা দেবার ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করেছেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান তাপস, লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘুনি গ্রামের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের অফিসার্স কল্যাণ সমিতির যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান(মাসুদ) ও তার সহধর্মিনী রোজিয়া সুলতানা (চামেলি), দিঘলিয়া এলাকার হাজী গোলাম রসুল-পলাশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সফল ব্যবসায়ী মুক্ত রহমান, সাংবাদিক শিমুল হাসান যুব-শিশু ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ শরিফুজ্জামান, সরদার রইচ উদ্দিন টিপু , মাহফুজুল ইসলাম মন্নু এবং তরুণ সমাজ সেবক সৈয়দ পিকুল।
সূত্র জানায়, করোনার প্রভাব পড়ার সাথে সাথে খাদ্য সহায়তা, মাস্ক-স্যানিটাইজার, নানা উপহার সামগ্রী দিয়ে দরিদ্র মানুষসহ ইমাম-মোয়াজ্জিনদের পাশে ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান তাপস সহ লোহাগড়ার মাহফুজুর রহমান(মাসুদ) ও তার সহধর্মিনী রোজিয়া সুলতানা (চামেলি)। হাজী গোলাম রসুল-পলাশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুক্ত রহমান এর উদ্যোগে শত শত মানুষকে খাদ্য সহায়তা সহ করোনা প্রতিরোধে মাস্ক, সাবান,স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। সাংবাদিক শিমুল হাসান যুব-শিশু ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ শরিফুজ্জামান, সরদার রইচ উদ্দিন টিপু , মাহফুজুল ইসলাম মন্নু গ্রামে গ্রামে গিয়ে দরিদ্র সহ সকল মানুষের খোঁজখবর নিয়েছেন। সংগঠনের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী। সাংবাদিক শিমুল হাসান যুব-শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা জানান, আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে অন্তত তিনশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তাসহ নানা সহযোগিতা দিতে পেরেছি।
রাজুপুর গ্রামের বাসিন্দা সফল ক্রীড়া সংগঠক মাহাবুব রহমান নিজ বাড়িতে সহধর্মিণী রোজি সহ যুবকদের নিয়ে মাস্ক তৈরী করে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। দিয়েছেন সাধ্যমতো খাদ্য সহায়তা। লক্ষীপাশা গ্রামের তরুণ যুবক সৈয়দ পিকুল নিজ অর্থায়নে প্রায় সাতশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ব্যাক্তিগত অর্থায়ন সহ নিজ প্রচেষ্টায় দরিদ্রদের পাশে থেকে কাজ করেছেন তারা। অসহায়, দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেয়া সহ খোঁজখবর নেয়া যেন তাদের কাজ ছিল। অব্যাহত রয়েছে তাদের সেবাদান কার্যক্রম।