ভারতে পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার আরও ২৯ সেন্টিমিটার বেড়ে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হতে শুরু করেছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও দোকানপাট। শনিবার (১১ জুলাই) সকালে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত পর্যন্ত ছিল ২৫ সেন্টিমিটার।
শহরের উকিলপাড়া থেকে দাড়ারগাঁও পর্যন্ত রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত। সুরমার পানি শহরের প্রবেশ করে মানুষের বাসাবাড়ী প্লাবিত করেছে। উঁচু স্থানের সন্ধানে চলছে মানুষ। ইতোমধ্যে অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশওয় নিয়েছেন। শহরের নবীনগর, ধোপাখালী, ষোলঘর, বনানীপাড়া, আলীপাড়া, মোহাম্মদপুর, হাছননগর, হাসনবসত, সুলতানপুর, সাহেববাড়ী ঘাট, আরফিননগর, হাজীপাড়া, নতুনপাড়ায় সহ অনেক পাড়ায় পানি উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় ও চেরাপঞ্জিতে পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদণ্ডনদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৩৩ মিলিমিটার। টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিবুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাত থেকে আরও ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সকালে ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে।