দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীর কর্মসংস্থান এবং উদ্যক্তা সৃষ্টিতে অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রশিক্ষনার্থীদের ভাতা বাবদ ২ লক্ষ্য ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নুরছাবা হোসেন নামে এক নারী উদ্যক্তা নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন দপ্তরে ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগে বলা হয়েছে দিনাজপুরের ক্ষেত্রিপাড়ার কলোনীপাড়া মহিলা উন্নয়ন সমিতি(কে এম ডি এস) নামে একটি বে-সরকারী সংস্থার সভানেত্রী জান্নাতুস সাফা শাহিনুর নারী উদ্যক্তা সৃষ্টির সাতটি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য তার নিকট নারীদের নাম চান। সেই অনুযায়ী তিনি ২১০ জন নারীর নাম তার নিকট জমা দেন। ১৫ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখের মধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু করার কথা থাকলেও তিনি গত ১৯ জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখ থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রাম কেন্দ্রে ৩০ জন নারীকে হাঁস-মুরগী খামার বিষয়ের উপর ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ শুরু করেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রশিক্ষনার্থীদের নিকট থেকে ভাতা প্রদানের জন্য ৫০০ টাকা হিসাবে ১৫ দিনে প্রতিজনের সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে ৩০ জনের নিকট ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ভাতা প্রাপ্তির ১০ টাকা মূল্যের রাজস্ব স্ট্যাম্প সম্বলিত মাস্টাররোলে স্বাক্ষর করে নেন। কিন্তু এ পর্যন্ত প্রশিক্ষনার্থীদের ওই টাকা তিনি দেন নাই। এ ছাড়াও তিনি ৭টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা থাকলেও শুধু মাত্র একটি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। টাকার কথা বললে সংস্থার লোকজন প্রশিক্ষনার্থীদেরকে ভয়ভীতি দেখান। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় সুলতানা রাজিয়া নামে একজন প্রশিক্ষনার্থী ১টি জিডি করেছেন। যার নং ৫০৪/২০ তারিখ ১৫-৬-২০ ইং। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান। কলোনিপাড়া মহিলা উন্নয়ন সমিতির(কে এম ডি এস) সভানেত্রী জান্নাতুল সাফা শাহিনুরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান। তিনি জানান প্রশিক্ষনের নিয়ম অনুযায়ী উপকরন থেকে শুরু করে সকল ভাতা নিয়মিত অভিযোগকারীর মাধ্যমেই প্রশিক্ষনার্থীদের প্রদান করা হয়েছে যার অফিসিয়াল ডকুমেন্ট রয়েছে। প্রশিক্ষনার্থীরা এখন শুধু মাত্র ১০০ টাকা করে যাতায়াত ভাতা পাবে। ওই টাকাও কয়েকদিন দিতে গিয়ে ফেরৎ আসা হয়েছে। যে টাকা এখনও তার নিকট জমা রয়েছে। কারণ তারা যাতায়াত ভাতা ১০০ টাকা নয় ৫০০ টাকা করে দাবি করে। অভিযোগে প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট থেকে ৫০০ টাকার যে মাস্টাররোলে স্বাক্ষর নেয়ার কথা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। ঐ মাস্টাররোল অভিযোগকারীর সৃষ্টি। আর থানায় যিনি
জিডি করেছেন তিনি তার প্রশিক্ষনাথীর্ই নয়। তার সংস্থার সুনাম নষ্টের জন্য পরিকল্পিত ভাবে ওই অভিযোগটি করা হয়েছে। তিনিও অভিযোগটির সঠিক তদন্ত দাবী করেছেন।