লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রধান সড়কটি দেখলে সড়কটিকে কেউ আর জেলা শহর বলবে না।খানাখন্দে ভরে উঠেছে লালমনিরহাট শহরের ব্যস্ততম প্রধান সড়কটি। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। পায়ে হেটে বা যানবাহনে এ পথ পাড়ি দিতে হলেই পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ।
এদিকে, জেলা শহরের প্রধান সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও শহরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে এগিয়ে আসছেন না সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিংবা পৌর কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শহরের আলোরুপ মোড় এলাকার ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শহরের প্রধান সড়কটি দেখলে কেউ একে আর জেলা শহর বলবে না। এই সড়ক দিয়ে শহরবাসী ও বাইরে থেকে আসা মানুষ সবসময় যাতায়াত করেন। অথচ সেটির অবস্থা বেহাল। পৌর কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে দায় এড়িয়ে চলে। আর সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে মাঝে মাঝে মেরামতের কাজ করলেও তা অল্প কয়েক দিনই টিকে থাকে।
তিনি আরো বলেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে আমরা চরমভাবে দুর্ভোগে পড়েছি। বৈষয়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সড়কের বেহাল দশার কারণে ক্রেতাও কমে গেছে।
শহরের বিডিআর রোড এলাকার বাসিন্দা আব্দার রহমান। তিনি বলেন, শুধু আলোরুপা মোড় নয়, পুরো সড়কটির অবস্থা বেহাল। এ সড়ক এখন আর চলাচলের উপযোগী নেই। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের খানাখন্দে পানি ও কাঁদা মাটিতে ভরে যায়। অথচ আমরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক!
তিনি আরও বলেন, জেলা শহরের প্রধান সড়কটিরই যেখানে বেহাল অবস্থা, সেখানে আমাদের দুর্ভোগ আর কষ্টের কি শেষ আছে?
এ বিষয়ে, লালমনিরহাট পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু বলেন, সড়কটির মালিক সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তাই এর রক্ষণাবেক্ষণ তারাই করেন। সঠিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সড়কটির মেরামত না করার কারণে এটা সবসময় বেহাল দশায় থাকে। আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে একাধিকবার, এমনকি এখনও তাগাদা দিচ্ছি; সড়কটি সঠিকভাবে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য।
লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, সড়কটির পাশে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে পানি জমে এটা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এবং চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ সড়কটি পুনরায় মেরামত করে শহরবাসীর চলাচলের উপযোগী করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আপাততঃ সড়কটি প্রাথমিকভাবে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করতে প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও জানান।