উপজেলার কয়রা সদর ও উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের সিমান্তবর্তি গড়িয়াবাড়ি ডিএস-১২ টুব্যান্ডের স্লুইস গেটে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কারনে এলাকাবাসি রয়েছে আতংকে। স্থানীয় ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের জলোচ্ছাসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/২ পোল্ডারের হরিণখোলা-ঘাটাখালি, ২নং কয়রা, উত্তর বেদকাশির রতœা, গাজীপাড়া, হাজতখালি বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা লোনা পানিতে প্লাবিত হয়। এ সময় কয়রা সদর ইউনিয়ন ও উত্তর বেদকাশির সীমানার কাশিরখাল দিয়ে পানি সরানোর জন্য ডিএস-১২ গড়িয়াবাড়ি স্লুইজ গেটের দু’টি পাট পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়। একটানা ২০ দিনের বেশি পানি নিস্কাশন চলাকালে পানির চাপে হঠাৎ স্লুইস গেটের দুই পার্শ্বের ওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। গেটের দুটি পাটের অবস্থা নাজুক আকার ধারণ করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম ও কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাঃ হুমায়ুন কবির ক্ষতিগ্রস্ত স্লুইজ গেট পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পাউবো কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। তবে পাউবোর পক্ষ থেকে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এলাকাবাসি রয়েছে আতংকে। জরুরী ভিত্তিতে স্লুইজ গেটটি মেরামত করা না হলে যেকোন মুহুর্তে এটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা। পাউবোর আমাদি শাখার সেকশন অফিসার মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, গড়িয়াবাড়ি স্লুইসগেটে ফাটলের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।