মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জির (হাজারীবাগ) প্রবেশপথ এলাকার রাস্তায় ছড়ায় উপর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের সহায়তায় কালভার্ট নির্মাণ কাজে শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষের বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কমলগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) সরজমিন পরিদর্শন করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের আওতায় কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের কালেঞ্জী খাসিয়া পুঞ্জিতে ২টি, ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা খাসিয়া পুঞ্জিতে ১টি ও মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জিতে (হাজারীবাগ) ১টি যাতায়াতের রাস্তায় পাহাড়ি ছড়ার ওপর কালভার্ট নির্মাণ কাজের বরাদ্দ আসে। এর মধ্যে কালিঞ্জী পুঞ্জিতে ২টি ও কুরমা পুঞ্জিতে ১টি কালভার্ট নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।এদিকে মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জিতে (হাজারীবাগ) ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কালভার্ট নির্মাণ কাজ শুরু হলে গত ১৭ জুলাই শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ব্যব¯’াপক প্রশান্ত সরকার বাঁধা দিয়ে এ কালভার্ট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
¯’ানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে গত ১৮ জুলাই কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক ও কমলগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান সরেজমিন ঘটনা¯’ল পরিদর্শন করেন। জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে এই পুঞ্জির প্রবেশ পথে এলজিইডির মাধ্যমে একটি কালভার্ট নির্মিত হয়েছিল। তখন নির্মিত কালভার্টটি শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে দিয়েছিল।
পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান (মন্ত্রী) প্রিচিলীং সুঙ, ও এলিসন সুঙ জানান, এ পুঞ্জির ৩৫ পরিবারে প্রায় ২৫০ জনসংখ্যা এই পুঞ্জিতে বসবাস করে। কালভার্ট না থাকায় কারণে আমাদের যাতায়াতের অসুবিধার সাথে উৎপাদিত পান বাজারজাত করণে সমস্যায় পড়তে হয়। কোন ব্যক্তি অসু¯’ হলে হাসপাতালে নেয়া অনেক কষ্ট হয়। এছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও নানা কষ্ট হয়। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে ছড়ায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলাবদ্ধাতা দেখা দেয়। এসব নিরসনে একটি কালভার্ট অতীব জরুরি। আমাদের কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের জন্য রাস্তায় ছড়ার উপর কালভার্ট হওয়াতে আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের ব্যব¯’াপক প্রশান্ত সরকার মুঠোফোনে জানান, এটি শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানে আওতাধীন এলাকা। চা বাগান কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এখানে কালভার্ট করা যাবে না।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন আওতায় পাত্রখোলা খাসিয়া পুঞ্জির প্রবেশ পথে একটি কালভার্ট নির্মিত হ”েছ। কিš‘ বাগান কর্তৃপক্ষ বাঁধা প্রদানের খবর পেয়ে সরেজমিন ঘটনা¯’লে পরিদর্শন করি। যেহেতু ছড়া কোন লীজ নেই সেহেতু কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।